চুরির অপবাদে ২ যুবকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যার উদ্দ্যেশে নির্যাতন - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৩১, ২০২৩

চুরির অপবাদে ২ যুবকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যার উদ্দ্যেশে নির্যাতন

চুরির অপবাদে ২ যুবকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যার উদ্দ্যেশে নির্যাতন
চুরির অপবাদে ২ যুবকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যার উদ্দ্যেশে নির্যাতন


ওবায়দুল ইসলাম রবি রাজশাহী:

রাজশাহীর চারঘাটে নগদ অর্থ চুরির অপবাদে ২ যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যার উদ্ধ্যেশে নির্যাতন করেছে ৯ সদসস্যের একটি দল। ঘটনার ১ মাস ২০ দিন পর সোমবার রাতে নির্যাতনের শিকার মোহন ইসলামের মা নাসিমা বাদি হয়ে অভিযুক্তদের নামে চারঘাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। 

গত ৯ জুলাই চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মছু নামে এক যুবককে স্থানীয় মালেকের মোড় থেকে তুলে নিয়ে যায় মুক্তা ও শুভর নেতৃত্বে কয়েক যুবক। তার বিরুদ্ধে এক নারীর ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে নির্যাতন করে। টাকার দাবিতে মছু কে বুক পর্যন্ত মাটিতে পুতে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন সইতে না পেরে মোহন ইসলামের কাছে টাকা আছে বলে মছু জানায়। এর পর মুক্তা-শুভর বাহিনী মোহনকে তুলে নিয়ে গিয়ে দিনভর নির্যাতন করে। এবিষয়ে মোহন জানায়, ওইদিন সকাল ৮.৩০টার দিকে মছুকে ধরে নিয়ে বুক সমান গর্ত খুঁড়ে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। চলে মধ্যযুগীয় নির্যাতন। দুপুরে সেখান থেকে তুলে একটি কক্ষে নিয়ে নির্যাতন করে। সেখানে তার স্বীকারোক্তি নেয়া হয়। তারপর বিকেলে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে বিলের পানিতে। পানিতে চুবিয়ে রেখে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সে সময় মাথা তুলে না রাখলে আমি মারা যেতাম।


মোহনের মা ও মামলার বাদী নারী গ্রাম পুলিশ নাসিমা খাতুন বলেন, ‘ঘটনার মাসখানেক পর দুই যুবককে মাটিতে পুঁতে রাখা ও পানিতে চুবানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পুলিশ প্রথমে থানায় জিডি করে আমাদের মামলা করতে বলে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য আসামীরা হুমকি দিয়ে আসছিল। আসামীদের বিচার নিশ্চিত করার পুলিশের আশ^াসে দায়ের করা হয় মামলা।’ নাসিমা খাতুন বলেন, ‘অনেকদিন পরে হলেও মামলা দিতে পেরেছি। আমার চাওয়া দ্রæত তদন্ত শেষে ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করা হোক।


চারঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আবজাল হোসেন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করা প্রচেষ্ঠায় রয়েছে।  মামলায় ০৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। বাকি চারজন অজ্ঞাত আসামী। বুক সমান মাটিতে পুঁতে ও পানিতে চুবিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, চারঘাটের চামটা গ্রামের আনজুর রহমান সাইদুরের ছেলে মুক্তার হোসেন মুক্তা (৪০), সলুয়া গ্রামের সাজেদুর রহমানের ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ শুভ (৩৫) আব্দুল ওয়াদুদ শুভ সলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, শিবপুর গ্রামের ছইমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির হোসেন (৩৮), চামটা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে মো. শুভ (২২), দৌলতপুর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে ঋত্বিক (২৩), একই গ্রামের গণির ছেলে জিনারুল (৪০), মতিন সরকারের ছেলে সাকলাইন (৩৬), সলুয়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে লালন (৩০) ও একই গ্রামের গমেজ আলীর ছেলে মিজান (৩৫)।  




Post Top Ad

Responsive Ads Here