নিপাহ ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরী স্বাস্থ্য বার্তা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, জানুয়ারী ০৩, ২০২৪

নিপাহ ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরী স্বাস্থ্য বার্তা

নিপাহ ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরী স্বাস্থ্য বার্তা
নিপাহ ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরী স্বাস্থ্য বার্তা


স্বাস্থ্য ও কৃষি:

নিপাহ ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য কেউ খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না, বাদুড় খাওয়া আংশিক ফল খাবেন না। ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে বিক্রি করবেন না।


নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং ঐ বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।


খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট গাছীগণকে এবং জনসাধারণকে প্রাণিবাহিত সংক্রামক ব্যাধি রোগ নিপাহ ভাইরাস। সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়। খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে বিক্রি করবেন না। উল্লেখ্য যে, খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোন বাধা নেই।


নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণ সমূহ-

১.⁠ ⁠জ্বরসহ মাথা ব্যাথা

২.⁠ ⁠খিচুনি

৩.⁠ ⁠প্রলাপ বকা

৪.⁠ ⁠অজ্ঞান হওয়া

৫.⁠ ⁠কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া

নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয়-

১.⁠ ⁠খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না।

২.⁠ ⁠কোন ধরনের আংশিক খাওয়া ফল খাবেন না।

৩.⁠ ⁠ফল-মূল পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে খাবেন।

৫.⁠ ⁠আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ভালভাবে ধুয়ে ফেলবেন।

৪.⁠ ⁠নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে অতি দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

জনস্বার্থে: সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


Post Top Ad

Responsive Ads Here