স্পোর্টস্ ডেস্কঃ মাশরাফি বিন মুর্তজা’ শুধু
একটা নামই নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাজির ঘোড়া বলা হয় তাকে। অভিজ্ঞ এই
ক্রিকেটার দলে থাকা মানে ড্রেসিংরুমের আবহাওয়া পালটে যাওয়া। হাসিঠাট্টা,
শাসন আর জুনিয়রদের প্রাণশক্তি।
এই মাশরাফি’র টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের দিন
অঝোরে কেঁদেছিলেন তার ভক্ত-সতীর্থরা। কিন্তু ৩৪ বছর বয়সী মাশরাফি শেষ
পর্যন্ত তার কথায় অবিচল। টি-টোয়েন্টি দলে না ফেরার পেছনে নিশ্চয় ক্ষোভও
ছিল।
যত যাই হোক, ব্যাটে-বলে মাঠে জবাব দিতে
পছন্দ করেন নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত এই তারকা। তার পারফরম্যান্সই দলে ফিরিয়ে
আনার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলা যায়। সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১৬
ম্যাচে নিয়েছেন রেকর্ড ৩৯ উইকেট। এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)
সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চ্যাম্পিয়ন করেছেন রংপুর রাইডার্সকে।
মাশরাফি অনন্য এখানেই। গত মার্চে
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত তিন জাতির নিদাহাস ট্রফিতেও তাকে দলে ফেরার অনুরোধ
করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। কিন্তু মাশরাফির
ইচ্ছা টেস্ট, টি-টোয়েন্টি নয়।
দলের সিনিয়র ক্রিকেটারের কথাতো আর ফেলে
দেয়া যায় না। বিসিবিও ভাবনায় পড়েছে তার এমন ইচ্ছাতে। ডিপিএলের এবারের আসরে
প্রায় সব ম্যাচেই করেছেন ১০ ওভার করে বল। কিন্তু কোনো রকম চোট তাকে কাবু
করতে পারেনি। নির্বাচকদের সাহস হয়তো এখানেই।
আজ রোববার জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান
নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, সে যদি টেস্টে ফিরতে চায় ফিরুক। এটা
সম্পুর্ণ তার আর বোর্ডের ব্যাপার। বিসিবি যেভাবে বলবে ওভাবেই হবে।
এই প্রধান নির্বাচক আবারও মনে করিয়ে দেন টেস্টের মাশরাফির চেয়েও টি-টোয়েন্টির মাশরাফিকেই বেশি দরকার এখন।
তিনি বলেন, আমরা এখনো চাই মাশরাফি টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে আসুক। সে ফিরলে দল পরিপূর্ণতা পাবে।
মাশরাফি সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ২০০৯ সালে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। সেই সফরে চোটে পড়ে আর
ফেরা হয়নি টেস্টে। বলা যায় ক্রিকেটের লঙ্গার ভার্সন থেকে অলিখিত অবসরই নিয়ে
নিয়েছেন ম্যাশ।