টাঙ্গাইল মির্জাপুরে বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় বিদ্যালয়ের মাঠ ; চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, মে ২২, ২০১৮

টাঙ্গাইল মির্জাপুরে বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় বিদ্যালয়ের মাঠ ; চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেওহাটা এ. জে উচ্চ বিদ্যালয় ও দেওহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠটি এখন জলাবদ্ধতার কারণে পুকুরে পরিণত হয়েছে। বছরের অধিকাংশ সময়ই এ মাঠে পানি থাকে। এতে করে বিভিন্ন খেলাধুলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দিবস উদযাপন করতেও সমস্যা হয়। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মনোবল ভেঙ্গে পড়ছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন দেওহাটা এ. জে উচ্চ বিদ্যালয় ও দেওহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি মহাসড়কের চাইতে প্রায় ৬ ফুটেরও বেশি নিচু। মাঠটি মাটি দিয়ে ভরাট করাই এখন প্রধান কাজ। এদিকে বিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কটি শিক্ষার্থীদের চলাচলে মরণ ফাঁদ হয়ে দাড়িয়েছে। রাস্তা পারাপারের তেমন কোন সু-ব্যবস্থা না থাকার কারণে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মহাসড়কে দ্রæত গতিতে গাড়ি চলাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয় স্কুলপড়–য়া শিক্ষার্থীদের। সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরাও।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের মাঠে পানি জমাট হয়ে থাকার ফলে আমরা খেলাধুলা করতে পারি না। প্রতিদিন শরীর চর্চা ও মার্চ পাস্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি না। অতি দ্রæত মাঠটি ভরাট করার জন্য উর্ধ্বতন মহলের কাছে দাবি জানান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লতিকা রাণী পাল জানান, মাঠে জলাবদ্ধতার ফলে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে আছি। তবে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ খুবই সক্রিয়। তারা বিষয় টিকে মাথায় নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার জন্য বিকল্প একটি রাস্তা করে দিয়েছেন।
দেওহাটা এ.জে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম জানায় ,মহাসড়কের চাইতে মাঠটি নিচু হয়ে গিয়েছে। একটু বৃষ্টির পানিতেই ভরে যায়, শিক্ষার্থীরা মাঠটি ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়তই।
সড়ক দূর্ঘটনা রোধে প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অতি দ্রæত যেনো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মহাসড়কের ঐ স্থানে ট্রাফিক পুলিশ প্রেরণ করা হয় এবং একটি ওভার ব্রিজের খুবই প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। ওভার ব্রিজ ও রাস্তা পারাপারের সু-ব্যবস্থা না থাকার ফলে বছরে অনেক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, সকলের সুবিধার্থে ৩মিটারের আন্ডার পাস (পাতাল সড়ক) হবে। এজন্য ওইখানে চার লেনের কাজ বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত এ কাজের অনুমোদন পাইনি। অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে। অনুমোদন পেলেই জুন-জুলাই এর মধ্যে কাজ শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীন জানান, বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতার বিষয়টি খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here