ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রপ্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন দেখতে চান। আর এ কারনে তিনি ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থীকে ভোটের মাঠে নেমে প্রচারনায় দেখতে চান। ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের কোন রকম প্রচার-প্রচারনা না চালানোর কারনটি ‘রহস্যজনক’ বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রার্থী কামাল ইউসুফ কোথাও ভোট চাইতে নামছেন না। তিনি ঘরে বসে রয়েছেন। তার নেতা-কর্মীরাও মাঠে নেই। কোথাও পোষ্টার, নির্বাচনী ক্যাম্প দেখা যায়না। তার কোন নেতা-কর্মীকেও নির্বাচনের প্রচারে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে না। অথচ কামাল ইউসুফ বিভিন্ন জায়গায় নালিশ করে বেড়ান, তাকে নাকি প্রচারনা করতে দেয়া হচ্ছে না।
মন্ত্রী রবিবার বেলা ১১টায় ফরিদপুরের তার নিজ বাসভবন ‘আফসানা মঞ্জিলে’ সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বিএনপির কর্মীরা আমার একজন নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করলো, আমার একটি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিলো এই ব্যাপারে আমি টু শব্দটিও পর্যন্ত করিনি। আমার নেতা-কর্মীরা যাতে উত্তেজিত না হয় সেজন্য আমি নিহত নেতার বাড়ীতে পর্যন্ত যাইনি। মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্ন রেখে বলেন, আমার নেতা-কর্মীরা বিএনপির প্রচারনায় বাঁধা দিচ্ছে, কিংবা বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানী করছে এমন তথ্য আপনাদের কাছে থাকলে আমাকে জানান। যদি আমার কোন নেতা-কর্মী এমন কাজ করে তাহলে তাকে পুলিশে দেয়া হবে। আমি চাই একটি শান্তিপূর্ন নির্বাচন হোক। সবাই শান্তিতে ভোট দিতে পারে। নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন অশান্তি যাতে না করতে পারে সেদিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। মন্ত্রী আরো বলেন, নির্বাচনের পর যাতে বিএনপির প্রার্থী বলতে না পারে তারা নির্বাচনের প্রচারনা চালাতে পারেনি। আমরা তাদের বাঁধা দিয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি একে আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, কোতয়ালী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, যুবলীগের আহবায়ক এ এইচ এম ফোয়াদ।