জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হচ্ছে সরিষাবাড়ী। সরিষাবাড়ীতে অচল অবস্থায় তারাকান্দি-ঢাকা বাস সার্ভিস চরম ভোগান্তি যাত্রীদের। বিলম্ব পথে গন্তব্যে পৌছাতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। প্রায় ০৮-১০ লক্ষ মানুষ এই উপজেলাতে বাস করে।
দেশের অন্যতম বৃহত্বর ইউরিয়া সারকারখানা এই উপজেলাতে অবস্থিত। নিজেদের ভাগ্যর পরির্বতন করতে পরিবারের সদস্যদের দু-মুঠা ভাত তুলে দেওয়ার জন্য সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবিদের অধিকাংশ ছুটে চলেন ঢাকার দিকে। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হওয়ার দরুন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ভালো পড়া শুনার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেনে রাজধানীর পথে। কিন্তু চলাচলের জন্য ট্রেনের সুবিধা ছাড়াও আরেকটি সড়ক পথে সুবিধা রয়েছে। সরিষাবাড়ীতে ০২ টি আন্তজার্তিক বাস টার্মিনাল রয়েছে একটি হচ্ছে সরিষাবাড়ী ও তারাকান্দি আন্তজার্তিক বাস টার্মিনাল। জামালপুর সরিষাবাড়ীতে দুইটি আন্তনগর বাস সার্ভিস টার্মিনাল থাকলে ও তারাকান্দি আন্তজার্তিক বাস টার্মিনাল অচল হয়ে পড়েছে সারা দিনে বাস সাভিৃস চালু নাই বল্লেই চলে। যা দু একটি দেখ যায় তাও আবার মৌসুমী আবহাওয়ার মতো। তারাকান্দি - ঢাকা রুটে বাস চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। সরিষাবাড়ী উপজেলা সিমান্ত বর্তী অঞ্চল হচ্ছে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলা ০৪ টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ যমুনা নদী পাড় হয়ে কর্মের সন্ধানে ঢাকা পাড়ি জমাচ্ছেন। তাদের একমাত্র সম্ভল হচ্ছে বাস সার্ভিস। আর এ সার্ভিস পেতে তাদের কে তারাকান্দি,জগন্নাথগঞ্জ ঘাট ,পিংনা, নলিন ও ভ‚য়াপুর হয়ে ঢাকা যেতে হয়। কিন্তু তারাকান্দি-ঢাকা রুটে বাস চলাচল নেই বলে চলে। তাই যাত্রীদের চরম ভোগান্তি ঘুনতে হচ্ছে।
পিংনা বাসস্ট্যান্ডে ডাকাতিয়ামেন্দা গ্রামের রেশমা নামে এক যাত্রীর সাথে কথা বলে যানা যায়, আমরা প্রতি প্রতি সপ্তাহে ঢাকা যাতায়াত করছি কিন্তু এ স্ট্যান্ডে কোন সময় বাস পাওয়া যায়না। সব সময় চরম ভোগান্তি পরতে হচ্ছে আমাদের। আমরা নিয়মিত এ রুটে চলাচল করতে পারবো। এরুট থেকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে দিনদিন। আমরা যদি এ রুটে ভালো কোন বাস সার্ভিস পাই তাহলে আমাদের যাতায়তের সুবিধা হবে।
তারাকান্দি বাসস্ট্যান্ডে মাস্টার মোঃ নুরুল ইসলাম ভাঙ্গীর সাথে কথা বলে যানা যায় স্বাধীনতার পর ১৯৯৭ সাল থেকে প্রথম এ রুটে বাস সার্ভিস চালু হয় । প্রথম থেকে ০৫ টি বাস দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও পরে বাস সার্ভিস বহরে ১৫ টি বাস যুক্ত হয়। যাত্রীর আনাগুনা ভালোই ছিলো তখন। রাত দিন ২৪ ঘন্টা বাসের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকতো। কিন্তু এখন বাস চলাচলের সুবিধা না থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রতিদিন ১০-১৫ টি বাস সার্ভিস চালু করা অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে।
জামালপুর জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের তারাকান্দি আঞ্চলিক শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান জানান, মালিক পক্ষ থেকে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত তাদের হাতেই। তারাকান্দি-ঢাকা যেতে একটি গাড়ি রাস্তায় নামালে ৫-৭ হাজার টাকা খরচ হয়, সঠিক মতো যাত্রী না পাওয়ার কারনে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শ্রমিকদের কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে আমরা যদি রাস্তায় যাত্রী পাই তাহলে পুনরায় নিয়ম নীতি মেতে আমরা মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে তারাকান্দি-ঢাকা রুটে নতুন করে বাস সার্ভিস চালু করবো।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আশা করি আমাদের তারাকান্দি-ঢাকা রুটে বাস সার্ভিস চালু হবে। সাধারন যাত্রীদের ভোগান্তি শেষ হবে। সরকার পরিবহন খাত থেকে রাজস্ব পাবে।