ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুঠোফোনে ডেকে এনে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার ওই তরুনী নিজে তিনজনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন। এরই মধ্যে পুলিশ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে।
ওই তরুণী, মামলার এজাহার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত চার মাস ধরে পাশের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের একটি গ্রামের ১৯ বছরের ওই তরুণীর সাথে বোয়লামারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বনচাকী গ্রামের ছবুর শেখের ছেলে মো. ইউসুফ শেখ (২০) এর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত বুধবার (৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে ইউসুফ ওই তরুণীকে বিয়ে করার কথা বলে মুঠোফোনে তাকে বোয়ালমারীর পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজার এলাকায় আসতে বলেন। ওই তরুণী তার কথা মতো ময়েনদিয়া বাজারে আসার পর ইউসুফ ওই তরুণীকে নিয়ে ময়েনদিয়া বাজার এলাকার হাবুল শেখের ছেলে মেহেদী হাসান (২৪) এর বাড়িতে তোলেন। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউসুফ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখেন। পরের দিন বনচাকী গ্রামের আকমল বিশ্বাস (৩৫) ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
ঘরে আটকে রাখা এবং ধর্ষণের খবরটি ওই তরুণী মেহেদীর ফুপাতো ভাইয়ের মাধ্যমে বোয়ালমারী থানায় জানায়। বোয়ালমারী থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে মেহেদীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং ইউসুফ ও মেহেদীকে আটক করে।
শুক্রবার (১০.০৫.১৯) সকালে ওই তরুণী বাদী হয়ে ইউসুফ, মেহেদী ও আকমলকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাদায়ের করেন। মামলা নম্বর ১০।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কেএম শামীম হাসান বলেন, ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য শুক্রবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আটক ইউসুফ ও মেহেদীকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে এ মামলার অপর আসামি আকমল বিশ্বাসকে কোতয়ালী থানার পুলিশের সহায়তায় ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment