মাজহারুল শিপলু, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
এবারের মা দূর্গা দেবীর আগমন ঘোড়ায় চড়ে আর যাবেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে। পঞ্জিকামতে, সনাতনধর্মী দুর্গা উৎসবের মহাষষ্ঠী ৫ অক্টোবর শুক্রবার এবং বিজয়া দশমী ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার। হিন্দু শ্রাস্ত্র মতে, অসুরকে ধ্বংস করার জন্য শরৎ কালের যুগে যুগে পৃথিবীতে দেবী দূর্গার আগমন ঘটে। এদিকে মির্জাপুরে প্রতিমা গড়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গহনা পরানো হলেই ঢাক-ঢোল সানাই বাজিয়ে দেবী দূর্গা উঠবে বেদিতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মির্জাপুরে সর্বাধিক ২৩৫ টি মন্ডপে শারদীয়া দূর্গা পূজার প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৃৎ শিল্পিরা। উপজেলার পৌর সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পূজা মন্ডপগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। এ বছর সবচেয়ে বেশী প্রতিমা তৈরী করেছে পৌরসভা। প্রতিটি পূজা মন্ডপের জন্য তৈরি করা হচ্ছে দূর্গা, লক্ষী, স্বরস্বতী, কার্ত্তিক, গনেশ, অসুর, সিংহ, মহিষ, হাঁস, পেচাঁ ও সর্পসহ প্রায় ১২টি প্রতিমা।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক জানান, মির্জাপুরে শারদীয় দূর্গোৎসবে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ধর্ম যার যার হলেও উৎসব সবার গানে মির্জাপুর হিন্দু মুসলিম সবাই আনন্দ উপভোগ করেন।
পুলিশ সুত্র জানান, আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে পূজা মন্ডপগুলোতে। টাঙ্গাইল জেলা তথা মির্জাপুর উপজেলার সর্ব বৃহৎ পুজা মন্ডপ রনদা নাট মন্দির এবং রনদা প্রসাদ সাহার নিজ বাড়িতে পূজা দেখতে আসবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রী, এমপি ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক (শিক্ষা) প্রতিভা মুৎসুদ্দি জানিয়েছেন, রনদা প্রসাদ সাহার পূজা মন্ডপে তিন দিন ব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভারতেশ্বরী হোমস, নার্সিং স্কুল ও বিএসসি নার্সিং কলেজ, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এবং সাহাপাড়ার শিল্পীরা মনোজ্ঞ নাচ, গান ও আলতি দেবেন।
মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সায়েদুর রহমান বলেন, আগামী ৫ অক্টোবর থেকে প্রতিটি মন্ডপে মূল পুজা শুরু হবে। উপজেলায় প্রতিটি মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, আনসার ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।