পূর্বধলায় আইয়ুব আলী জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, নভেম্বর ০৪, ২০১৯

পূর্বধলায় আইয়ুব আলী জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত!

সময় সংবাদ ডেস্ক//
নেত্রকোণার পূর্বধলায় উপজেলায় মোঃ আইয়ুব আলী জীবিত থেকেও ভোটার তালিকা অনুযায়ী মৃত। তিনি উপজেলার পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের লাউজানা গ্রামের মোঃ মুনছুব আলীর ছেলে। পেশায় কৃষক, ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জনক তিনি। নিজের নাম পুনরায় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তির জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছেন।

দিব্যি বেঁচে আছেন তিনি। বন-জঙ্গলে নয়, থাকেন লোকালয়ে। পরিবার ও সমাজের মানুষের সাথে। সমাজের মানুষের চোখে সব কিছু ঠিক থাকলেও গোলযোগ বেঁধেছে অন্যখানে। পৃথিবীর আলো বাতাসে তিনি জীবিত থাকলেও ভোটার তালিকায় তিনি মৃত। এ কী জ্বালা! ভোট দেয়া না দেয়া যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ চাইলে দিতে পারেন, আবার না চাইলে নাও দিতে পারেন। কিন্তু তিনি তো নিজে চাইলেও কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। বিগত চার বছর যাবৎ সকল নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি তিনি। একপ্রকার ভোট দেওয়ার আশায় ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

ভূক্তভোগী আইয়ুব আলী জানান, আমার স্থায়ী ঠিকানার সূত্রে আমি পূর্বধলা উপজেলার ৬নং পূর্বধলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের লাউজানা ভোটার এলাকার একজন ভোটার। আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৭২১৮৩৯৪১৯৪৮৮৬। কিন্তু গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে এসে দেখতে পারলাম ভোটার তালিকায় আমার নাম কর্তন করা হয়েছে। নির্বাচন অফিসের সার্ভারে এনআইডি নম্বর দিয়ে সার্চ দিলে আমার স্ট্যাটাস মৃত দেখায়।

তিনি অভিযোগ করেন, আমি চার বছর ধরে কোন নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারিনি। বিগত পূর্বধলা ইউপি নির্বাচনে নারায়ণডহর কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পূর্বে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চাইলে কর্মরত সহকারি প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারগণ আমাকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন করা হয়েছে বলে জানান। আমি জীবিত থাকার পরেও ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন হওয়ায় গত সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও ইউপি নির্বাচনসহ কোন নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। আমাকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাই তিনি বাংলাদেশের একজন স্থায়ী নাগরিক হিসেবে তাকে ভোটার তালিকায় পুনরায় নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, ২০০৮ সালে ভোটার তালিকা প্রস্তুতের সময় আইয়ুব আলীসহ উপজেলায় এরকম আরো অনেক ভুলক্রটি রয়েছে। এগুলো দ্রুত সংশোধন করার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে সংশোধনের জন্য আবেদন গ্রহণ করা করা শুরু হয়েছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here