ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া এলাকার ৪টি রাস্তার উদ্ধোধন করতে যান ফরিদপুর এক আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল হাসান বুলবুল। এসময় আড়পাড়া রাস্তা উদ্ধোধন করতে গিয়ে মঞ্চে দুপক্ষের লোকজনের হাতাহাতির কারনে রাস্তা উদ্ধোধন না করেই ফিরে চলে যান আলফাডাঙ্গা। আর তিনি থাকাকালিন সময় জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান এই দুই পক্ষের হামলায় আহত হন উপজেলা যুবলীগের রইচ উদ্দিন, ভোলা সেলিম, জেলা পরিষদের সদস্য মির্জা আহসানুজ্জামান আজারুল নিজেসহ আরো কয়েকজন। তবে এই দুই পক্ষই সংসদ সদস্য পক্ষের সমর্থিত হিসেবে পরিচিত।
জেলা পরিষদের সদস্য মির্জা আহসানুজ্জামান আজারুল বলেন, সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল হাসান বুলবুল সাহেব ৪টি রাস্তা উদ্ধোধনের কথা ছিলো আড়পাড়া এলাকায়। তিনি আমাদের নিয়ে দুপুরে রাস্তা উদ্ধোধনের জন্য সেখানে যান। এমপি মঞ্চে থাকার সময় হঠাৎ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু মঞ্চে লোকজন নিয়ে গিয়ে উপজেলা যুবলীগের নেতা রইচ উদ্দিন এর গায়ে হাত দেয়। এসময় আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। পরে কামারখালী এলাকায় আমরা চলে গেলে সেখানে গিওে ভোলা সেলিমসহ আমাদের উপর তার লোকজন হামলা চালায় দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে।
তিনি বলেন, গত তিন দিন আগে উপজেলায় আমন ধান সংগ্রহ নিয়ে একটি সমস্যা তৈরি কে কেন্দ্র করে তারা আমার ও এমপির উপর ক্ষিপ্ত ছিলো বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু মোবাইলে বলেন, তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। মঞ্চে নওপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দাউদার রহমান উপস্থাপনা করছিলো। এসময় পৌরসভার রইচ উদ্দিনসহ কয়েকজন তাকে বাধা দেয়। এনিয়ে হট্টগল তৈরি হয় এছাড়া আর কিছু নয়। এটা নিউজ হওয়ার মতো কোন বিষয় নয় বলে তিনি জানান।
মধুখালী থানার ওসি(তদন্ত) মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মঞ্চে হাতাহাতি অবস্থা চলা শুরু হলে আমি দ্রæত সময়ের মধ্যে এমপি সাহেবকে নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে দক্ষিন চর বাগাট নিয়ে যায়। এরপর তিনি সেখান থেকে আলফাডাঙ্গা চলে যান। তবে এ ঘটনায় কোন পক্ষ এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।