ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডাক্তারের ভুয়া ডিগ্রী নিয়ে ইউনাইটেড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রচারণা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২০

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডাক্তারের ভুয়া ডিগ্রী নিয়ে ইউনাইটেড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রচারণা



ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ 
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডাক্তার ওয়াহিদুজ্জামান আজাদের ডাক্তারি ভুয়া ডিগ্রী নিয়ে জনমনে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

শহরে কয়েকটি মহলের মধ্যে সমালোচনা করে বলা হচ্ছে গত একমাস হলো ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে যোগদান করেছেন ডাক্তার ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ।তার এফসিপিএস ডিগ্রী না থাকলেও ইউনাইটেড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে এফসিপিএস বলে। এ বিষয়ে ইউনাইটেড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলতাব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তার সদর হাসপাতালে চেম্বারের দরজায় টাঙ্গানো সাইনবোর্ড দেখে লিফলেট বানিয়েছি।

বিষয়টির ওপর আরো পরিস্কার হতে সাংবাদিকরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ডাক্তার ওয়াহিদুজ্জামান আজাদের চেম্বারে যেয়ে দেখতে পাই সেখানেও এমবিবিএস, এফসিপিএস, এবং এমসি (সার্জারী) লেখা আছে। প্রশ্ন এখানেই যে সব জায়গাতেই তার ডিগ্রির ক্ষেত্রে এফসিপিএস লেখা তাহলে লোকের মুখে কানাকানি কেন?

বিষয়টি নিয়ে ডাক্তার ওয়াহিদুজ্জামান আজাদের চেম্বারে যেয়ে কথা বলে জানা যায় তিনি বিষয়টির উপর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এফসিপিএস হবেনা, এমসিপিএস হবে। আপনার নামে মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে এফসিপিএস বলে এবিষয়ের উপর আপনি কি বলবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাউকে এমনটা বলতে বলি নাই, তবে যারা করছে তাদের ফায়দা লোটার জন্য করতে পারে। সরকারি হাসপাতালে আপনার চেম্বারের দরজায় সাইনবোর্ডে এফসিপিএস লেখা এটাও কি ভুল লেখা ছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি প্রথম দিনই দেখেছি সংশোধন করার কথা বলা হয়েছে। পরে সংশোধন করা হয়েছে কিনা আমি আর দেখিনি।

বিষয়টি হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক অপূর্ব কুমার সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিও এফসিপিএস বলেই ডাক্তার ওয়াহিদুজ্জামান আজাদকে জানি, তবে এর ভিন্ন কিছু হলে বিষয়টা দুক্ষজনক।বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সভাপতি আউব আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনিও বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে দুক্ষ প্রকাশ করেন এবং তিনি আরও বলেন,সরকারী হাসপাতালের ডাক্তারদের ডিগ্রী নিয়ে প্রতারণা কখনও কাম্য নয়।কারন এর প্রভাব হাসপাতালের উপর পড়ে।  

 একটি সরকারি হাসপাতালে একজন ডাক্তারের ডিগ্রী নিয়ে ভুল তথ্য লিখে চেম্বারের সামনে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা এটা কি আসলেই ভুল নাকি মানুষের সাথে প্রতারণা করার সুকৌশল। সেটা তদন্তের জন্য জেলা সিভিল সার্জনের কাছে সাধারন মানুষেরা জোর দাবি জানিয়েছেন।

Post Top Ad

Responsive Ads Here