বড়াইগ্রামে মহাসড়কের বেহাল অবস্থা,জনদুর্ভোগ ! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ০৩, ২০২০

বড়াইগ্রামে মহাসড়কের বেহাল অবস্থা,জনদুর্ভোগ !


নিজস্ব প্রতিনিধি:
নাটোরের বনপাড়া-পাবনা মহাসড়কের মাত্র ৫০০ মিটার স্থানের অসুস্থতায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারী, যান বাহনের যাত্রীসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার সামনে মহাসড়কের ওই অংশের বেহাল অবস্থা দিন দিন বাড়লেও আমলে নিচ্ছে না সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংস্কার কাজের ধীর গতির কারণে এ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে  পৌরবাসীসহ, পথচারী, যানবাহনের যাত্রীরা। পাশাপাশি ওই স্থানের আশে-পাশের শতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ধুলোয় নাভিশ্বাস অবস্থায় রয়েছে দিন-রাত। বনপাড়া উপজেলার প্রধান বন্দর হওয়ায় প্রতিদিন ৪টি কলেজসহ ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থীরা চলাচল করে ওই পথে। এছাড়া বনপাড়া উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার হওয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার যানবাহন চলে মহাসড়কের ওই স্থান পাড়ি দিয়ে। প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র হওয়ায় সবমিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার জনগনের যাতায়াত ঘটে একই স্থান দিয়ে। এতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়ার পরেও মহাসড়কের ওই ক্ষত স্থান সাড়াতে কারো যেনো মাথা ব্যাথা নেই। ফলে জন দুর্ভোগ ক্রমশ: বেড়ে চলছে।  

জানা যায়, ২০১৯ সনে নভেম্বরে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের নাটোর অংশ সংস্কারের জন্য খুলনার মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে এবং কিছু এলাকায় কাজ শুরু করেছে। কিন্তু বনপাড়া পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই অংশটুকুতে এখনও কাজ শুরু করেনি।  সোমবার দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের ডিভাইডাররের দুই পাশে কার্পেটিং উঠে গেছে। তৈরী হয়েছে খানাখন্দের। মাসখানেক আগে নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিছু নিম্নমানের ইট দিয়ে সংস্কার করে। কিন্তু কোন ফল হয়নি, সড়কের অবস্থা আরও বেহাল হয়ে উঠেছে। আটকে যাচ্ছে গাড়ি, তৈরী হচ্ছে যানজটের। 

সড়ক সংলগ্ন ঔষধের দোকানী মিন্টু হোসেন জানান, গত তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে এই সড়কে ইট বিছিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। যা ভেঙ্গে ধুলা হয়ে যাচ্ছে এবং সে ধুলা উড়ে দোকান-পাটে জমা হচ্ছে। ফলে ব্যবসা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। 

বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতো গুরুত্ব¡পূর্ণ মহাসড়কের এই স্থানের এমন দূর্দশা মেনে নেয়া কষ্টকর।  পৌরসভার পক্ষ থেকে সকাল-বিকাল জলমটর দিয়ে পানি ছিটিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। প্রতি ঘন্টায় পানি ছিটানো প্রয়োজন কিন্তু সে কাজটি করাটাও দূরূহ ব্যাপার পৌর কর্তৃপক্ষের জন্য।  

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আরমান আলীকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী নজেস রহমান বলেন, আমি এই সপ্তাহেই যোগদান করেছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি সড়কের এই অংশ সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। অতিদ্রæত সময়ে যাতে তারা সংস্কার কাজ শেষ করে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here