পিতা করলেন দান, অস্বীকার করলেন পুত্র ! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০২০

পিতা করলেন দান, অস্বীকার করলেন পুত্র !


সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর থেকে : 
পিতা করলেন দান, অস্বীকার করলেন পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের চাঁদপুর ইউনিয়নের বঙ্গেশ^রদীতে অবস্থিত সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলটিতে পিতার দানকৃত জমি ফেরত চাইছেন তার মৃত্যুর পর সন্তান। ওই সম্পত্তি তার পিতা স্কুলকে দান কিংবা বিক্রয় করেননি দাবি করে আদালতে একটি মামলাও ঠুকে দিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ওই এলাকায়। 


ফরিদপুরের পাশর্^বর্তী বোয়ালমারী উপজেলার সীমানা সংলগ্ন বঙ্গেশ^রদীতে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুলের মোট জমির পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। 


ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমএ মান্নান জানান, পাঁচটি রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে এসব জমি কেনা হয়। এরমধ্যে স্কুল প্রতিষ্ঠাকালীন বছরেই পাশর্^্বর্তী জনৈক দুলাল সরকারের নিকট হতে ৩১ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে ক্রয় মিউটেশন করা হয়। সরেজিমনে দেখা গেছে, ওই জমিটির একটি অংশ রয়েছে পরিত্যক্ত ডোবা। পিছনের অংশে আম বাগান। সম্প্রতি স্কুলের কমনরুমের স্বার্থে ডোবাটি ভরাটের সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। 


এদিকে, জমির মালিকানা বদলের দীর্ঘ ২৬ বছর পর দুলাল সরকারের ছেলে দিলীপ সরকার তার পিতার স্বাক্ষরিত ওই দলিলকে অস্বীকার করে জমিটি এখনো তাদেরই বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ডোবার ওই জমি তার পিতা বিক্রি করেননি। এ ব্যাপারে তিনি সদর সহাকারী জজ আদালতে একটি মামলা দাখিল করেছেন। এর মাঝে যেনো ওই ডোবা ভরাট না করে সেজন্য তিনি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের নিকট স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি দরখাস্ত করেন।
এ প্রেক্ষিতে গত সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ মোঃ সজিব ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তবে সেখানে ডোবা ভরাটের কোন আলামত না পেয়ে ফিরে যান ওই কর্মকর্তা। শাহ মোঃ সজিব বলেন, সরকারী বা খাস জমির স্বার্থ ছাড়া আমরা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিনা। বিষয়টি এখন আদালতের এখতেয়ারাধীন।


এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল খায়ের বলেন, দুলাল সরকার জীবিত থাকতে তার অনুরোধে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় একটি রেজুলেশন হয়েছিলো যে, ওই ডোবার জমি স্কুল আর আমবাগানের জমি তারা ভোগ করবেন। তার অবদানের বিষয়টি মাথায় রেখে এজন্য আমরা ওই আমবাগানের জমিতে যেতাম না। কিন্তু এখনতো তার অবর্তমানে তার অবদানকেই অস্বীকার করছেন তার সন্তান। অথচ ২৬ বছর যাবত ওই জমির সরকারী খাজনাও দিয়ে আসছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, যেহেতু তারা মামলা করেছেন এখন স্কুল তার ৯৩ শতাংশ জমি বুঝে নিবে, স্কুলের কোন জমিই আর কেউ দখল করে রাখতে দিবো। এখন আদালতে আমরা কাগজপত্রসহ সব তুলে ধরবো।

Post Top Ad

Responsive Ads Here