বোয়ালমারীর মর্ডান ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে একটি পরিবার - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, জুলাই ২৩, ২০২৫

বোয়ালমারীর মর্ডান ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে একটি পরিবার

বোয়ালমারীর মর্ডান ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে একটি পরিবার
বোয়ালমারীর মর্ডান ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে একটি পরিবার 


বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত মডার্ন ল্যাবরেটরীর কিডনির উপরে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে বিপাকে ফেলেছে একটি পরিবারকে। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন লোকজন বলছে খারাপ এবং নষ্ট মেশিন দিয়ে মডার্ন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে ল্যাবরেটরিটি পরিচালনা করা হচ্ছে। যার কারনে ভুয়া রিপোর্ট করে।


ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ই জুলাই উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের জাহিদুল বেগের আড়াই বছরের ছেলে জিহাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসে ৫ টাকার টিকিট কেটে হাসপাতালে কর্মরত ডা: মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিনকে দেখান। তিনি দেখে প্রসাব ও কিডনি পরীক্ষা দেন। জাহিদুল বেগ তার বাচ্চাকে নিয়ে মডার্ন ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করতে দেয়। মর্ডান ল্যাবরেটরির লোকজন পরীক্ষার কাগজে লেখে তার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। পরে ওই রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার দ্রুত ফরিদপুর নিয়ে যেতে বলে। তারা ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে শিশুভাষা চলবে  টিকে ডা. এসি পালকে দেখালে। তিনি নতুন করে পরীক্ষা দেন। ওই পরীক্ষাগুলো ফরিদপুরে অবস্থিত ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতলে পরীক্ষা করেন। সেখানে সকল রিপোর্টগুলোই ভালো আসে। প্রসাবে সামান্য একটু সমস্যা পায়। 


বুধবার (২৩ জুলাই) ওই বাচ্চা জিহাদের দাদি জবেদা বেগম বলেন, মডার্ন ল্যাবরেটরী থেকে রিপোর্টে লেখা হয়েছে বাচ্চার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। রিপোর্ট হাসপাতালে গিয়ে ডা: মফিজ উদ্দিনকে দেখালে তিনি রিপোর্ট অনুযায়ী বলেন বাচ্চার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে তাকে দ্রুত ফরিদপুর নিয়ে যান। এ কথা শুনে পরিবারের সকলেই কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। ওই দুনই ফরিদপুর গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে নতুন করে রিপোর্ট করানো হয়। সেখানে রিপোর্টে আসছে কিডনিতে কোন সমস্যা নেই প্রসাবে একটু সমস্যা আছে।

তিনি আরো বলেন এভাবে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে বিপাদে ফেলানো ঠিক না।


মডার্ন ল্যাবরেটরির মালিক জিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিপোর্ট ভূয়া না। রিপোর্টে কমবেশ হতে পারে। আমি আলফা ডাঙ্গায় আছি ফ্রি হয়ে পরে কল দিব বলে লাইনটি কেটে দেন।


হাসপাতালে কর্মরত ডা: মফিজ উদ্দিন বলেন, পরীক্ষার মান যে বিষয়টা এটা আমরা সব সময় ভালো চাই তাহলে নির্ভুল চিকিৎসা দিতে সমস্যা হয় না। আর যদি রিপোর্ট ভালো না হয় ওই রিপোর্টের উপরেই আমাদের ডিসিশন নিতে হয়।আমরা চাই নিয়ম মেনে সঠিক রিপোর্ট দিক সকলে।


যেহেতু রোগীর ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব আসে সেই জন্য ফরিদপুর এসি পাল সারের কাছে পাঠাইছি। 

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা: মাহমুদ বলেন, একই দিনে দুটি রিপোর্ট করা হয়েছে মডার্ন ল্যাবরেটরির রিপোর্টে আসছে ২.৩৫ আর ফরিদপুরের রিপোর্ট আসছে ০৩। একই তারিখে রিপোর্ট এত পার্থক্য হওয়া উচিত না। বোয়ালমারী ক্লিনিকদের দেখভাল করা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য।উর্ধতন কর্তৃপক্ষদের দেখা উচিত।


Post Top Ad

Responsive Ads Here