অবিশ্বাস্য গতিতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, মার্চ ২২, ২০২০

অবিশ্বাস্য গতিতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে



নজরুল ইসলাম হাবিবী, লন্ডন থেকে:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান বলছেন, নতুন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ‘অবিশ্বাস্য গতিতে’ এগিয়ে চলেছেন। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে কমপক্ষে ২০টি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এসব প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আবিষ্কৃত হবে কোভিড-১৯ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে মানুষের শরীরে ভেকসিন পরীক্ষা চালিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোন দেশের পক্ষ থেকে সুখবর মেলেনি। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। কারণ একটি খারাপ ভাইরাসের তুলনায় একটি খারাপ ভ্যাকসিন বেশি অপকারী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচীর টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভে বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ও নাটকীয়ভাবে এগোচ্ছে। আমাদের যতটুকু সামর্থ্য, তার চেয়েও দ্রুত এগোতে পারছি আমরা। বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে বিশ্বের ১৮০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে আড়াই লাখের বেশি। বিশ্বজুড়ে নতুন করোনাভাইরাসের ২০টি ভিন্ন ভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ একধরনের রেকর্ড। এত কম সময়ে আগে কখনো কোনো রোগের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা যায়নি। কোভিড- ১৯ জিন সিকোয়েন্স তৈরির মাত্র ৬০ দিনের মাথায় এসব ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়।

কমপক্ষে ২০টি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে:
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মাইক রায়ান বলেছেন, পৃথিবীর পুরো জনগোষ্ঠীর জন্য একটি উপযোগী ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে অনেক সাবধানী পদক্ষেপ নিতে হয়। যদি একটি ভ্যাকসিন তৈরি করাও যায়, তখন আরও অনেক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নৈতিক বাধার মুখোমুখি হতে হবে।কারণ নতুন করোনাভাইরাস ঠেকাতে হলে বিশ্বের সব মানুষকে এই ভ্যাকসিন দিতে হবে। শত শত কোটি মানুষের জন্য বিপুল পরিমাণে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। সবাইকে এই ভ্যাকসিন দেয়া ও তা নিতে রাজি করানোও কঠিন কাজ।

সার্স ও মার্স যখন ছড়িয়েছিল, ওই সময় থেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই আমরা এগিয়ে চলেছি। আগের গবেষণা নতুন ভাইরাসের ক্ষেত্রে কাজে লাগছে।এই মুহূর্তে ২০টিরও বেশি প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে। এর মধ্যে একটি অন্যান্য প্রাণীর ওপর পরীক্ষা না চালিয়েই মানুষের দেহে পরীক্ষা করা শুরু করেছে। তারা এটি নিরাপদ কিনা এবং এর কার্যকারিতা আছে কিনা তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এসব প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আবিষ্কৃত হবে কোভিড-১৯ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন।

Post Top Ad

Responsive Ads Here