ফরিদপুরে এখনও করোনা ভাইরাস রোগি শনাক্ত হয়নি, ৪৬৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, মার্চ ২০, ২০২০

ফরিদপুরে এখনও করোনা ভাইরাস রোগি শনাক্ত হয়নি, ৪৬৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

 

সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর থেকে :

ফরিদপুরে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৪৬৩ জনকে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ৪২১ জনকে। তবে তাদের শরীরে কোন করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। এরই ভিতর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সিভিল সার্জন অফিসে একটি কন্টোল রুম খুলেছে এ বিষয়ে। সেখান থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে করোনা ভাইরাস বিষয়ে সব তথ্য। এরই মধ্যে ফরিদপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চার হাজার ০৩ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের নিজ উদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও তারা সেই নির্দেশনা সকলে মানছেন না। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা নিয়েও অনেকে বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গত ১ মার্চ হতে ১৮ মার্চ পর্যন্ত এরা বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন। তবে এদের মধ্যে করোনা ভাইরাস আছে এটা শনাক্ত হয়নি। তবে বেশিরভাগই ভারত থেকে দেশে এসেছেন। বিদেশ ফেরত লোকদের খুঁজে খুঁজে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা বলছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এরই মধ্যে। পুলিশসহ সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছে নিজ নিজ দপ্তর।

ফরিদপুরের ডেপুটি  সিভিল সার্জন  মো. খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, বর্তমানে ফরিদপুরে ৪৬৩ জনকে হোম কোরাইনটাইন করা হয়েছে। এছাড়া তিন জনের মেয়াদ শেখ হওয়ার পর তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে গঠিত ইউনিয়ন কমিটি বৃস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে এ ব্যাপারে আগামী দুই এক দিনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। তিনি বলেন আমরা এখনও নিরাপদ এবং ভালো আছি।

এদিকে হোক কোয়ারেনটাইনের বিধিমালা লংঘন করায় বৃহস্পতিবার তিন উপজেলায় পাচঁ ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়। এদিকে করোনা ভাইরাস বিষয়ে সতর্ক করে ফরিদপুরে গত বুধবার রাত থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে মাইকিং।

করোনা ভাইরাস বিষয়ে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায়  স্থানীয় জন প্রতিনিধি, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ওয়ার্ড মেম্বার, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নিয়ে এই কার্যক্রমে শামিল করা হয়েছে। সকলকে তাঁর নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আরো বেশি বেশি সর্তক হতে বলা হয়েছে।

এদিকে গত দুদিন ধরে ফরিদপুর জেলা শহরসহ সকল বাজার গুলোতে অতিরিক্ত নিত্য ভোজ্য পন্য কেনার হিরিক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ার মতো। তবে এক সাথে এতো পন্য কেনার কোন কেনার দরকার নেই বলে প্রশাসন থেকে বলা হলেও তারা শুনছেন না। জেলা প্রশাসন থেকে টিসিবি এর মাধ্যমে নিত্য ভোজ্য পন্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের তিতুমীর মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় যে যার মতো পারছে অতিরিক্ত চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ বিভিন্ন পন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় প্রতিটি দোকান আগের যে কোন সময়ের থেকে ভীড়ে ঢাসা ছিলো। দোকান গুলোতে দুপুরে অভিযান চালালেও প্রতিটি পন্য বেশি দামে বিক্রি লক্ষ্য করা গেছে সন্ধ্যায়।

বাজারে এই বিষয়ে কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন ভয়ে আমরা বেশি বেশি করে জিনিষ কিনছি। কখন কি হয় সেই কারনে এতো বেশি বাজার করা। ফরিদপুরে এখনও করোনা শনাক্ত হয়নি বললেও তারা সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা যেতে রাজি নয়। তারা বলেন গুজব উঠেছে বেশি বেশি করে পন্য কিনে রাখার জন্য তাই কিনছি।



Post Top Ad

Responsive Ads Here