ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী:
রাজশাহীর চারঘাটের সারদা সরকারী কলেজের এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থীরা তোপের মুখে। ইভটিজিং’র প্রতিবাদের কারনে একাদশ শ্রেনীর ছাত্র স¤্রাটকে জুয়েলসহ অজ্ঞাত দুইজন মিলে প্রচন্ড মারধর করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের কর্তৃক অপরাধীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে কলেজ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
কলেজ অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের সূত্রমতে জানাযায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে সারদা কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে দুই-তিন জন ছেলে নিজেদের মধ্যে কোলাহল করতে দেখা যায়। যা দেখে মনে হচ্ছিল তারা নিজেদের মধ্যে মস্কারা, ঠাট্রা করছিল। কিন্ত এক পর্যায়ে দেখা যায় তিন জন মিলে একজনকে বেধড়ক মারধর করতে আরম্ব করে। তৎক্ষনাত কলেজের এক শিক্ষক গিয়ে আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বলে জানান কলেজ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ সালেহা খাতুন।
গতকাল বুধবার ১টার সময় আহত ওই ছাত্রের শারিরীক অবস্থা আশঙ্কা ভেবে কর্ত্যবরত চিকিৎসক ডাক্তার শংকর রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির করার পরামর্শ দিয়েছেন। ডাক্তারের সূত্র মতে, ওই ছাত্র বাক শক্তিসহ শারিরীক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার দরুন উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতলে প্রেরন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উক্ত বিষয়ে কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করার প্রস্তুতি নেই। কিন্ত রাজনৈতিক প্রভাবে কলেজ শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের কক্ষে তালা বন্ধি করে রেখেছে বলে মুঠো ফোনে এই পত্রিকার সাংবাদিককে জানায় শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতী ঘটে যাওয়া বিষয়ে সারদা ইউনিয়নের ঝিকরা মধ্যপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক ওমেত আলী আহত ছাত্র স¤্রাটের বাবা মারামারির বিষয়ে কলেজে লিখিত অভিযোগ করেছে। এটা কোন ইভটিজিং অভিযোগ না বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। কিন্ত শিক্ষার্থীদের দাবি ঘটনার সময় স¤্রাটের বাবা উপস্থিত ছিলনা। তাছাড়া যে ছাত্রী ইভটিজিং এর শিকার হয়েছে সে তাদের সহপাটি বান্ধবী।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে কলেজ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ এবং বেশ কিছু শিক্ষক অপরাধীর বিচারের কথা না বলে উপস্থিত ব্যাক্তিরা বলে, তারা আহত ছাত্রের চিকিৎসার খরচ বহন করছে। অপরদিকে সারদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম সম্পাদক (২) হাছানুজ্জামান মধু বলেন, অপরাধী জুয়েলসহ অজ্ঞাত ২জনের বিরুদ্ধে দ্রæত বিচার কার্যকর করতে হবে। থানা আ’লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, এটা একটি অপরাধ অবশ্যই অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তদন্ত ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সত্য উৎঘাটন করা হয়েছে। অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রক্রিয়া চলছে। চারঘাট মডেল থানা ওসি সমিত কুমার কুন্ডু বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি মৌন মিছিল করার প্রস্তুতী নেই। কিন্ত কোন এক পক্ষ পাল্টা আঘাত করার প্রায়তারা করার কথা জানতে পেরে ওসি তদন্ত আনোরয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা দিয়েছে। কলেজে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রæত আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান, ইউএনও সৈয়দা সামিরা।