গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর পানিতে ফেলে ডুবে মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার টেষ্টা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৪, ২০২০

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর পানিতে ফেলে ডুবে মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার টেষ্টা


ভোলার বোরহানউদ্দিনে তিন সন্তানের জননী ফাহিমা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্বামীর পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীর ছোট ভাই নুরে আলমকে আটক করেছে পুলিশ।


সোমবার রাতে যে কোনো সময় সাচড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডে রামকেশব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে যে কোনো সময় ফাহিমা বেগমকে হত্যা করে তার স্বামী ও তার পরিবার। পরে লাশ পানিতে ফেলে দিয়ে পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে রটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু নিহত ফাহিমা বেগমের মুখের বাম পাশে ও গলায় আঘাতের চিহৃ থাকায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর পর স্বামী নজরুল উধাও হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় নজরুলের ছোট ভাই নুরে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ। সে এখন বোরহানউদ্দিন থানা হেফাজতে রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আ. মন্নান বিশ্বাস বাদী হয়ে মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামি করে বোরহানউদ্দিন থানায় হত্যা মামলা করেন।

নিহত ফাহিমা বেগমের বাবা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের ঘরে ১টি ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। আমার জামাই মো. নজরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে মারধর করতো। কিন্তু সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার মেয়ে সব কষ্ট মেনে নেয়। সোমবার রাতে যে কোনো সময় আমার মেয়েকে জামাইসহ তার পরিবারের সদস্যরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। ফজরের আজানের আগে আমার ছেলে আকতারকে জামাই নজরুল ফোন করে বলে তোর বোন পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ খরব শুনে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের মুখের বাম পাশে ও গলায় বিভিন্ন আঘাতের চিহৃ। তারা আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি ম. এনামুল হক জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নজরুলের ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।



সময়/দেশ/রাজ

Post Top Ad

Responsive Ads Here