ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে হচ্ছে করোনা কর্ণার - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, এপ্রিল ১৩, ২০২০

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে হচ্ছে করোনা কর্ণার


ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে (ফমেক) করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে। তবে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের (ভেন্টিলেশন) ব্যবস্থা না থাকায় ফমেকের এখানকার আইসিইউ ইউনিটটি সচলের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

সারাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের অংশ হিসেবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ উদ্যোগ নিতে চলেছে। ১১৫ শয্যার ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ৫০ শয্যার পৃথক একটি করোনা কর্ণার তৈরী করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

ফমেক হাসপাতালে এর আগে ২০ শয্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করেছে। এছাড়া ওই হাসপাতালে থাকা অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৬টি আইসিইউ বেড সচলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, জেলার নয় উপজেলার প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সালথা উপজেলার এখনো অব্যবহৃত হাসপাতাল ভবনে ৫০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট তৈরি করা হয়েছে।

ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকার জানান, ফরিদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সমন্বয় করে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সোমবার পর্যন্ত ফরিদপুরে কোনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। ফরিদপুরে সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্তদের পরীক্ষা শুরুর পর হয়তো এ অবস্থা থাকবে না। সেজন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কবিরুল ইসলাম জানান, আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যেই ফমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চারতলায় স্থাপনকৃত ল্যাবরেটরীতে করোনা রোগী সনাক্তের জন্য টেষ্টের ব্যবস্থা চালু করতে পারবো। এরইমধ্যে পিসিআর মেশিন স্থাপন ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে।

ফমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান জানান, ফমেক হাসপাতালে ১৬ বেডের আইসিইউ ইউনিটটির যন্ত্রপাতি সচল করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ইউনিটের সমস্যা সমাধান করে জরুরী (করোনায় আক্রান্ত) রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

ফরিদপুর সিভিল সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ৫০ শয্যার পৃথক একটি কর্ণার তৈরীর কাজ এখনো শেষ হয়নি। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে প্রত্যেক হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ফরিদপুরে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব রয়েছে। ফমেক হাসপাতাল ব্যতিত জেলার অন্য কোথাও ভেন্টিলেশন মেশিন নেই বিধায় অনেক রোগীকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।  



সময়/দেশ/নাজ

Post Top Ad

Responsive Ads Here