বরিশাল নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমবাগান এলাকায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা যায় ১৮ মাস বয়সী এক শিশু। নিজ ঘরে শিশুটির মৃত্যুর খবরে জানাজা ও দাফনের সাহায্যে পাড়া-প্রতিবেশী কেউ এগিয়ে আসেনি। বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি তার শিশু ছেলের লাশ নিয়ে পড়েন বিপাকে। আশপাশের বাসিন্দাদের কাছে আকুতি মিনতি করলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।
কোনো উপায় না পেয়ে প্রতিবন্ধী বাবা বাসার বাইরে অবস্থান নিয়ে কাঁদতেছিলেন। এমন সময় কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আরাফাত হাসানের নেতৃত্বে সেখানে হাজির হয় একদল পুলিশ। থানার ওসি মো. নুরুল ইসলামের নির্দেশে মৃত্যুর ছয় ঘণ্টা পর পুলিশ শিশুর লাশের গোসল করিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় দাফন করেন।
শিশুর প্রতিবন্ধী বাবা জানান, তার ১৮ মাস বসয়ী ছেলের কয়েকদিন আগে জ্বর হয়। দুই দিন ধরে তার শ্বাসকষ্টও দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু হাসপাতালে না নিয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঘরে রেখে নিয়মিত ওষুধ সেবন করানো হচ্ছিল। শনিবার সকালে সে মারা যায়।
শনিবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আরাফাত হাসান বলেন, শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে পাড়া প্রতিবেশীরা ভয়ে কেউ বাসার ধারে কাছেও আসেনি। অমানবিক এই ঘটনাটি স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রত্যক্ষ করে থানার ওসি স্যারকে খবর দেয়। পরে আমি ওসি স্যারের নির্দেশে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুর লাশ উদ্ধার করে গোসল করিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পাঁচ থেকে ছয়জনকে নিয়ে জানাজা করি। শেষে শিশুর লাশ আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে শহরের রূপাতলী এলাকায় দাফন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কী না এ তথ্য নিশ্চিত হতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এসে শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করেছে।
সময়/জেলা/রাজ