‘করোনা মোকাবিলায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলে পুরস্কার’ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৭, ২০২০

‘করোনা মোকাবিলায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলে পুরস্কার’

সময় দেশ:

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যেসব ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্য খাতে যারা দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছেন তাদের তালিকা করে বিশেষ প্রণোদনা (পুরস্কার) দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি আরো বলেছেন, যারা পালিয়ে আছেন, তারা এই প্রণোদনা পাবেন না।


মঙ্গলবার গণভবন থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দুঃসময় আসছে। এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে হানা দিতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যারা জীবন বাজি রেখে সেবা কাজে নিয়োজিত, তাদের জন্য বিশেষ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। দায়িত্ব পালনের সময় কেউ আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সরকার করবে। পদমর্যাদা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমা করা হবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এই বিমা পাঁচগুণ বাড়ানো হবে। যারা করোনার সময় কাজ করছেন, জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, এই প্রণোদনা শুধু তাদের জন্য। 

তিনি আরো বলেন, যারা পালিয়ে আছেন, তারা ভবিষ্যতে ডাক্তারি করতে পারবেন কি না, সে চিন্তাও করতে হবে। কেউ যদি এখন কাজে আসতে চান, তবে তিন মাস তার কাজ দেখে চিন্তা-ভাবনা করা হবে। কাউকে শর্ত দিয়ে কাজে আনা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বিনা চিকিৎসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রোগী কেন ফেরত যাবে? রোগী দ্বারে দ্বারে ঘুরে কেন মারা যাবে? রোগী কোথায় কোথায় গেছে, সেসব ডাক্তারের নাম জানতে চান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বাইরে আছেন এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তারা রেশন কার্ড করতে পারবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা দিন এনে দিন খান, ছোটখাটো ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, তাদের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। অনেকে আছেন, যারা অনুদান নেবেন না, কিন্তু কিনে খেতে চান, তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা হাত পাততে পারবেন না, তাদের তালিকা করতে হবে। তাদের বাচ্চা নিয়ে যাতে কষ্ট না হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতটুকু মাটিও যেন অনাবাদি না থাকে। এ ব্যাপারে তিনি কৃষিমন্ত্রী, মৎস্যমন্ত্রীকে বলেছেন।

দুর্ভোগের সময় কেউ অনিয়ম করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগ লুকাবেন না। এটা লজ্জার বিষয় না।

মাঠপর্যায়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কাজ করা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Post Top Ad

Responsive Ads Here