ছোট গল্প-- - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, মে ২৩, ২০২০

ছোট গল্প--

 ছোট গল্প--

আমি প্রতিদিন কোন না কোন কিছু শিখছি। তবে এখন পর্যন্ত যে ভালো কিছু শিখতে পারেনি সেটা কিন্তু সহজেই বলা যায়। চারিপাশে এতো ভালো ভালো মানুষ তারপরেও কেন যে ভালো কিছু শিখতে পারছি না সেটাই বুঝতে গিয়ে গলমর্দ অবস্থা আমার। যাই হোক সকাল সকাল অপনাদের শিখানোর গল্প না শুনিয়ে মূল কথায় আসি। ঘরবন্দি জীবন আপাতত যে সহজে শেষ হচ্ছে না সেটা আপনি আমি সবাই বুঝতে পেরে গেছি এরই মধ্যে। বলতে পারেন ঘরবন্দি জীবনে এসে অনেক কিছুই শিখেছি এই কদিনে। গতকাল এক সহকর্মি বন্ধু একটি পোষ্ট দিয়েছেন সেই পোষ্ট নিয়ে আজ আমার ছোট গল্প লিখার বৃথা চেষ্টা বলতে পারেন। তারপরেও লিখতে যখন বসেছি তখন কিছু  না কিছুতো লিখতে হবেই। বার বার লাইন কেটে অন্যদিক চলে যায় এটাও একটা বদ অভ্যাস না ভালো অভ্যাস তা বুঝতে পারছি না। এই করোনা আমাদের সব কিছু ওলট পালট করে দিয়েছে তেমনি অনেক বদ অভ্যাস বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার এটাও বলতে হবে ভালো কিছু অভ্যাস কিন্তু আয়ত্ত¡ করতে পেরেছি। সেটা আর আজ বলবো না ওটা বললে আবার নিজ ঘরে গৃহদাহ শুরু হতে পারে।  


যাই হোক সেই বন্ধুর সেই বাস্তবময় চোখের জলে ভিজা পোষ্টটি পড়ে অনেক কষ্ট পেলাম নিজ থেকে। তিনি যা লিখেছেন তার তো প্রতিদিন আমি দেখতে পাই কোথাও না কোথাও। 


তিনি আমাদের জীবনের প্রতিদিনকার বাস্তব কথাটি পোষ্টটিতে উল্লেখ করে আমাকে বাস্তবময় জীবনের কথা স্মরন করে দিয়েছেন। তিনি সেখানে বলেছেন আমরা কেমন আছি সেটা কেউ জানতে চাই না বা কাজ শেষে একটি ধন্যবাদ দেয় না অতি দুঃখের সাথে তুলে ধরেছেন। যেহেতু সাংবাদিকতা করি সেই পেশার কথাটিই তিনি অতি দুঃখের সাথে তার পোষ্টে তুলে ধরেছেন। 


আমি নিজেই দেখেছি সত্যি বলতে যাদের কাজের জন্য ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কাজ শেষ হলেই মনে হয় আমাকেও ছুড়ে ফেলে দেওয়া হলো রাস্তার পাশে থাকা কোন ডুবন্ত জঙ্গলে। এটার কি পরিবর্তন কখনো হবে না। এই করোনা ভাইরাস আসলে ভেবে ছিলাম তাদের মতিগতি যে ভীমরতি রয়েছে সেটা কিছুটা হলেও বাস্তবরীতিতে এসে পৌঁছাবে। কিন্তু তা হয়নি মনে হয় আরো তাদের ক্ষুদার জ্বালা আরো বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ সমুন ভাই আপনার সেই বাস্তবিক প্রতিদিনের টের পাওয়া কিছু কথা তুলে ধরার জন্য। আসলেই আমরা অনেক কিছু চাই না। চাই শুধু এক চিলতে হাসি। এর থেকে বেশি তো তারা দিতে পারেনা। তাই ওই এক বিন্দুটুকু পেলেই সত্যি অনেকত খুশি হতাম। 


বাড়তি কোন সুবিধা নেওয়ার কোন অভ্যাস কখনো ছিলনা এখনো নেই। ইতিবাচক জীবনের গতিতে থাকার নিরন্তর চেষ্টার শুণ্য গনিতের ভাষা যদি বুঝেন ও ভাবেন আপনারা তাহলে দেখবেন অনেক কিছুই অনেক সুন্দর হবে। অনেকে আছে এই সমাজে কিছু না পাওয়ার বেদনায় একজন ভালো মানুষকেই এক সেকেন্ডে পৃথিবীর এক নিকৃষ্ট জীবে পরিনত করে। আমি এই ধ্যান ধারনা কখেেনাই পোষন করি না। কারন চাওয়া পাওয়া যেখানে তুচ্ছ এক বালু কনা সেখানে নেতিবাচক ধ্যান পোষন করে লাভ কি। 


আর সেটা তো হারে হারে টের পাইয়ে দিচ্ছে করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে। এরপরও যদি আমি আপনি সংশোধন না হই তাহলে কি হতে পারে একটু ভেবে দেখেছেন কি?  


যেখানে সারা বিশ্ব সব কিছু লন্ডভন্ডতায় এক উন্মদনায় নাচাতে শিখাচ্ছে সেখানে নতুন করে অর্থলয় কতটুকু বাচাবে একটু ভেবে দেখেন আজ থেকে না না এখন থেকেই বলবো।
সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।   

       
সামনের দিনে এই ভাইরাস কতটা বিধ্বংসী হতে পারে সেই ভয়ে ভীত রয়েছে সারা বিশ্ব। এদিকে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে অক্রান্ত দেশগুলো কোথাও ঘোষিত আবার কোথাও অঘোষিত লকডাউন অবস্থা বিরাজ করছে। হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহণ শ্রমিক, রিকশা চালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরতদের কোন কাজ নেই। এতে বেকার হয়ে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ। তাদের সংসার চালাতে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। করোনার কারণে আমাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুই থেকে তিন শতাংশে নেমে যেতে পারে বলে ধারনা করছেন অর্থনীতিবিদরা। 


এই অর্থবছরের শুরুতে আট দশমিক দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। করোনায় লকডাউনের কারণে ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল এই এক মাসে অর্থনীতিতে এক লাখ দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে দেশে ক্ষতির পরিমাণ প্রতিদিন তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা।   


তাহলে সব কিছু ভেবে একটু দেখেছেন কি কোথায় আমাদের বরাদ্দের প্রলয়ের অহমিকা। আসুন ধন্যবাদ দেয়া শিখি ছোট ছোট করে শিখতে জানি বুঝতে জানি সব সুন্দর হবে সামনের দিনে।#

লেখক-
সঞ্জিব দাস, জেলা প্রতিনিধি,
এনটিভি, ফরিদপুর- ০১৭৪৩৯২৩৩৭১  

Post Top Ad

Responsive Ads Here