চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে প্রায় ১০ মণ ওজনের একটি হাউস মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সাড়ে ১৫ ফুট আর লেজের দৈর্ঘ্য প্রায় সাত ফুট হবে বলে জানান জেলেরা।
শনিবার বিকেলে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে গেলে মাছটি দেখা যায়। শহরের বড়স্টেশন মাদরাসা রোড এলাকার জেলে মো. আবুল বাশারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
তিনি বলেন, পদ্মা-মেঘনা নদীর লক্ষিরচরে দুপুরে মাছটি আটকা পড়ে। পরে আটজন মিলে মাছটি নদীর পাড়ে নিয়ে আসি। সেখান থেকেই ট্রলারে মাছটি ঘাটে এনে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে চাঁদপুর লকডাউন না হলে মাছটি এক লাখ টাকায় বিক্রি করা যেতো।
স্থানীয় জেলেরা জানান, বৃত্তাকার বিশাল আকৃতির মাছে রয়েছে লম্বা ও শক্ত লেজ। গায়ের রঙ কালচে। একে অনেকে ‘হাউস’ মাছ বলে জানলেও মূলত ‘শাপলা পাতা’ মাছ।
এ ব্যাপারে আড়তদার মো. কালাম গাজী বলেন, মাছটির বয়স আনুমানিক ছয়-সাত বছর। কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা করে বিক্রি করতে চেয়েছি। কিন্তু হাঁক-ডাকের আগেই ৫০ হাজার টাকায় কিনে নেন এক ব্যবসায়ী। এটি পাইকাররা আড়াই থেকে ৩শ’ টাকায় বা তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করবে।
মাছটি কেনেন ঘাটের মুনছুর আহমেদ বন্দুকশি নামে এক মাছ ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ৫০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নারায়ণগঞ্জের আড়তদারের কাছে পিকআপে পাঠানো হয়েছে। লকডাউন না হলে মাছটির দাম আরো বেশি পড়তো।
সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, মাছটির ইংরেজি নাম স্টিংরে এবং বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরাইমব্রিকাটা। মাছগুলো সাগরে থাকে। তবে দেশের বড় নদীগুলোতেও এদের ১২ থেকে ১৩টি প্রজাতি রয়েছে।
সময়/দেশ