খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলীর যোগীপোলে এক মাদরাসাছাত্রীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে পরিত্যক্ত বাসভবনের ভেতর পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এ ঘটনা এক যুবক দেখে ফেলায় ধর্ষিতার সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ধারণ করে ওই যুবকের বাবার কাছে চাঁদা দাবি করেছে ধর্ষকরা।
ধর্ষণের ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। শনিবার দুপুরে নগরীর খান জাহান আলী থানায় মামলটি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় একই বাড়ির ভাড়াটিয়া নাহিদের ছেলে আমিনুল, যোগীপোল ইউপির শহিদের ছেলে আজিজুল ও জাব্দীপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে পারভেজ কৌশলে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী মুফতী মানসুরুর রহমানের পরিত্যক্ত বাসভবনে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় মানসুরুর রহমানের ছেলে মো. সানাউল্লাহ দেখে ফেললে তারা ছাত্রীকে খাটের নিচে লুকিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে সানাউল্লাহ তাকে খাটের নিচ থেকে বের করার সময় আসামিরা ছাত্রীর সঙ্গে সানাউল্লাহর ছবি অসৎ উদ্দেশে বিভিন্নভাবে মোবাইলে ধারণ করে। এ ঘটনার পরদিন আসামিরা তার ওই ছবি দেখিয়ে সানাউল্লাহর বাবা মানসুরুর রহমানের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে মানসুর রহমান ছাত্রী ও তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা সব ঘটনা খুলে বলে।
খানজাহান আলী থানা ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অসুস্থ ওই ছাত্রী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি আছে।
সময়/দেশ/নাজ