ফরিদপুরের সাদ পরিবহনের বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, জুলাই ১৪, ২০২০

ফরিদপুরের সাদ পরিবহনের বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

 

ফরিদপুর প্রতিনিধি :
আলফাডাঙ্গা-ঢাকা রুটে সাদ পরিবহনের বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের রথখোলাস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাদ পরিবহনের স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান সিদ্দিকী কামরুল বলেন, বাস মালিক গ্রুপের অনুমোদিত সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকা-আলফাডাঙ্গা রুটে দীর্ঘ বছর যাবত সাদ পরিবহন চলাচল করছিল। তবে ২০১৫ সালের পর বাস মালিক গ্রæপের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বরকত রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যায়ভাবে ওই রুটে সাদ পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এখনো বরকতের পকেট কমিটির লোকেরা উদ্ভট দাবি ও কথাবার্তা তুলে আমার গাড়ি চলাচলে বাধাগ্রস্থ করছে বলে তিনি জানান।


এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে বাস মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান বনি জানান, বাস মালিক মালিক গ্রæপ সাদ পরিবহনের কাছে বাস ভাড়া বাবদ ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পায়। ওই টাকা না দেয়ায় সাদ পরিবহন চলাচলে তারা বাধা দেন।


এদিকে, বিপুল পরিমাণ এই পাওনা টাকার বিপরীতে বাস মালিক গ্রæপের প্রমাণ হিসেবে তিনি সাজ্জাদ হোসেন বরকতের সময়কালে তৈরিকৃত একটি হিসাব তুলে ধরেন। জয়েন্ট স্টক কর্তৃক নিবন্ধিত ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের বার্ষিক অডিট নিস্পত্তি করা হয় সরকার অনুমোদিত নিরীক্ষণ কোম্পানীর মাধ্যমে। যদিও এই পাওনার স্বপক্ষে এমন কোন অডিট রিপোর্ট তিনি দেখাতে পারেননি। এসময় তিনি ২০০৯ সালে গ্রæপের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক আলমের স্বাক্ষরিত একটি পত্র দেখান যেখানে কামরুজ্জামান সিদ্দিকী কামরুলকে পাওনা পরিশোধ করতে বলা হয়। তবে ওই পাওনা টাকার বিষয়ে দুই পক্ষের যুক্তি পাল্টাযুক্তি দেখানো হয় পৃথক সংবাদ সম্মেলন থেকে। 


২০১৯-২১ সালের বাস মালিক গ্রুপের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কাজী সাইফুর রহমান সোহেল। তাকে অন্যায়ভাবে পদত্যাগে বাধ্য করে তৎকালীন সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বরকত এই আলী আহসান বনিকে সাধারণ সম্পাদক বানান বলে অভিযোগ রয়েছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here