সময় সংবাদ ডেস্ক//
অ্যাপভিত্তিক রাইড সেবাদাতা পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাহিম সালেহ খুন হওয়ার ঘটনায় তার ব্যক্তিগত সহকারী টেরেস ডেভোন হাসপিলকে গ্রেফতার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। জনমনে প্রশ্ন, কে এই টেরেস হাসপিল? তার পরিচয় কী? কিংবা ফাহিমের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে?
ফাহিমের ব্যক্তিগত ও আর্থিক বিষয়াদি দেখভাল করতেন টেরেস—এ তথ্য কম-বেশি সবারই জানা। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে কোনো অপরাধী গ্রেফতার হলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয় না। হাসপিলের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম অনেকটা বজায় রাখছেন পুলিশ সদস্যরা।
এরপরও বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত টেরেস ডেভোন হাসপিল নিজেকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকতেন। এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে ২১ বছর বয়সী হাসপিল রীতিমতো প্রতারক চরিত্রের ছেলে।
একটি প্রতিযোগিতা থেকেই মূলত ফাহিমের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান টেরেস। ২০০৯ সালে প্র্যাঙ্ক ডায়াল নামের একটি মজার ওয়েবসাইট তৈরি করেন ফাহিম। সেই ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য ওয়েব ডিজাইনের প্রতিযোগিতায় টিকে যাওয়া টেরেসকে নিয়োগ দেন ফাহিম। সেখান থেকেই মূলত তাদের পরিচয়। এরপর ফাহিমের অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিতে চিফ অব স্টাফ হিসেবেও যোগ দেন। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন।
টেরেসের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তেমন কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল লং আইসল্যান্ড হাইস্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন। তবে ডেইলি নিউজের একটি প্রতিবেদনে আবার বলা হয়েছে, এই গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি টেরেস।