হাটের থেকে অনলাইনে কোরবানির পশুর দাম কম - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, জুলাই ২৯, ২০২০

হাটের থেকে অনলাইনে কোরবানির পশুর দাম কম


সময় সংবাদ ডেস্ক//
সাধারণ পশুর হাট থেকে অনলাইনে তুলনামূলক কম দামে এবার বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাটসহ প্রায় অর্ধশতাধিক অনলাইন সাইট থেকে বিক্রি হচ্ছে গরু। অনলাইনে পশু বিক্রি আগে শুরু হলেও ক্রেতাদের অনলাইন হাট থেকে পশু কেনার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে গত দুদিন ধরে। 

বিশেষ করে রাজধানীর গরুহাটগুলো চালু হওয়ার পর যখনি ক্রেতারা হাটে গিয়ে এবং অনলাইন ভিজিট করে গরুর দামের পার্থক্য দেখছে তখনি প্রচুর ক্রেতা সমাগম ও বিক্রি অনলাইনে বেড়েছে। সাধারণ হাটের চেয়ে ই-কমার্স শপগুলোতে দাম কম বিধায় হাট চালু হওয়ার পর ই-কমার্স শপগুলোর বেচাকেনা দ্বিগুন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ই-ক্যাব। 

ই-ক্যাবের সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা আসলে ক্রেতাদের সামর্থের কথা বিবেচনা করে গরু সংগ্রহে জোর দিয়েছি। আমাদের যারা খামারী ও উদ্যোক্তা রয়েছেন তাদের আমরা একটা মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি। ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের এই মূল্যসীমা সারাদেশে পশুর বাজারের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক। এই মূল্যসীমার কারণে এবার অন্যরা গরুর দাম বাড়াতে পারবে না।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশন এর সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ শাহ ইমরান বলেন, আমাদের বেশীরভাগ গরুই ডিজিটাল স্কেলে ওজন মাপা। যেসব গরু বাইরে থেকে আসবে ঈদের আগের দিন সেগুলোর ওজন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সুতরাং এখানে কোনো প্রতারণার সুযোগ নেই। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য একটা আস্থার জায়গা তৈরি করেছে।

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ এর হেড অব ইকুইজিশন সাইমুন সানজিদ চৌধুরী বলেন, আমাদের বেশকিছু মার্চেন্ট থেকে বাছাই করে শুধু ন্যায্যমূল্যে যারা গরু দিতে পারবে, তাদের কাছ থেকে গরু নিচ্ছি। ফলে আমরা গরুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে পেরেছি।

গ্রামীণফ্রেন্ডস এর সিইও জুনায়েদ আহমেদ বলেন, লাইভ ওয়েটের ওপর ২৯০ টাকা ৩৩০ টাকার মধ্যে আমাদের গরুগুলো রয়েছে। এর মধ্যে কোনো হাসিল নেই। এমনকি আমরা হোম ডেলিভারির দায়িত্ব নিয়েছি। ডিজিটাল হাটের ইনভয়েসে গরুর ছবি দেয়া রয়েছে। ক্রেতারা গরু ডেলিভারি নেয়ার সময় অবশ্যই সব তথ্য মিলিয়ে নিতে পারবেন। অনলাইন হাট হলেও ক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সবকিছু ঠিক করা হয়েছে। ক্রেতারা একবার এখান থেকে গরু কিনলে বার বার কিনবেন।

বিডিসেল এর নির্বাহী শহীদুজ্জামান বলেন, আমরা অনলাইনে দেয়ার জন্য কিছু পশুর ছবি তুলতে হাঁটে গিয়েছিলাম। রাজধানীর কয়েকটা হাঁট দেখে আমরা অনলাইনে আপলোড করার জন্য গরু পাইনি। কারণ সেগুলোর দাম অনলাইনের গরুর তুলনায় অনেক বেশি।

গরুহাটডটকম এর প্রধান নির্বাহী  মোহাম্মদ শাহীন বলেন, আমরা প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে গরু কিনছি। ফলে একদিকে কৃষক উপকৃত হচ্ছে অন্যদিকে ক্রেতারা সাধ্যের মধ্যে সেরা গরু পাচ্ছে। উপরন্তু অনলাইনে হাসিল না থাকার কারণে ক্রেতারা আরো বেশি উৎসাহিত হচ্ছে। করোনার ব্যাপার তো আছেই। 

এ প্রসঙ্গে দেশীগরুবিডি এর প্রধান নির্বাহী টিটু রহমান বলেন, প্রথাগত হাটের সঙ্গে পার্থক্য গড়তে হলে অবশ্যই দাম এবং মান দুটোকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। ডিজিটাল হাট যে দামসীমা নির্ধারণ করেছে আমরা তার চেয়ে কম দামে অনলাইনে গরু বিক্রি করছি। ফলে প্রতিদিন আমাদের বিক্রির হার বাড়ছে।

অনলাইনে কুরবানির পশুর সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে স্লটারিং সেবা। ডিএনসিসি ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ফরমরঃধষযধধঃ এ পাওয়া যাচ্ছে এই সেবা। এর মধ্যে রয়েছে গরুর স্বাস্থ্য ও ওজন পরীক্ষা, ইসলামী বিধান অনুযায়ী গরু জবাই, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাংসকাটা, গরুর ভুড়ি পরিষ্কার, মাংস, পায়া, কলিজা, মগজ ইত্যাদি ৪ কেজির নিরাপদ প্যাকে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাসায় পৌঁছে দেয়া। এতে অন্যান্য সহযোগিতায় রয়েছে আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশন। 

ডিএনসিসির ডিজিটাল হাটের সঙ্গে যেসব অনলাইন শপ যুক্ত হয়েছে যেগুলো হলো দারাজ, আজকের ডিল, গরুহাট, কুরবানিহাট, দেশীগরু, সবজিবাজার, গ্রামীণফ্রেন্ডস, জারিফা বাণিজ্যালয়, আহনাফ এগ্রো, বিডিসেল, ই-সদাই, রেইনফরেস্ট, যাচাই, আনন্দমেলা, ঢাকা বস, ঢাকার দোকান, ফাম এগ্রো, ফ্যামিলি বাজার, পরানবাজার, ভিআইডি বাজার, হাংরি নাকি, একশপ, ফুড ফর নেশন, ফ্রেসবিঙ্গার, হাম্বাফার্ম, হাম্বাহাম্বা ডট কম,  নন্দনা, বিশালহাট, উডল্যান্ড, জিনিসমার্ট, শপআপ, সওদাগর, সেরাবাংলা৬৪, সবকিছু, সাদিক এগ্রো, খাটি, প্রিয়শপ, পারমিদা, প্রগা এগ্রো, অনলাইন মুদি, কাজী টেকনোলোজি ইত্যাদি।

Post Top Ad

Responsive Ads Here