জেগে উঠেছে ফরিদপুর, দুর্বৃত্ত লুটেরাদের প্রতিহতের ঘোষনা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, আগস্ট ১৬, ২০২০

জেগে উঠেছে ফরিদপুর, দুর্বৃত্ত লুটেরাদের প্রতিহতের ঘোষনা


 

সঞ্জিব দাস : 
ফরিদপুরে এবারের ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের দিনটি ছিলো অন্য কয়েক বছরের থেকে ব্যতিক্রম বা আলাদা। দিসবটি উপলক্ষে শনিবার দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে জনতা ব্যাংক মোড়ের লাবলু চত্ত¡রে ত্যাগী ও পরীক্ষিত আওয়ামীলীগের নেতা কর্মির সমন্বয়ে স্মরনকালের এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই শোক সভাকে নেতাকর্মিরা দেখছেন প্রতিবাদ দিবস হিসেবে। শোক সমাবেশ থেকে গত ১২ বছরে অনুপ্রবেশকারীরা লুটেরা দুর্বৃত্তরা যে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তাদেরকে প্রতিহতের ঘোষনা দেন বক্তরা। তাদের বক্তব্য প্রকাশ পায় গত ১২ বছরে তাদের উপর ঘটে যাওয়া নানা রকমের নির্যাতন নিপীড়নের কথা। মূলত শোক সমাবেশ থেকে ফরিদপুর যে নতুন করে জেগে উঠেছে সে কথায় বার বার স্মরন করেন নেতারা তাদের বক্তব্য। 
  
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বিপুল ঘোষ। 

সভায় প্রথমার্ধে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা ও দ্বিতীয়ার্ধে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শামিম হক এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হোসেন, কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ কবিরুল ইসলাম মাও, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সাইফুল আহাদ সেলিম, রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি, সাবেক জিএস মুনিরুল ইসলাম মিঠু, জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা সম্পাদিকা আইভি মাসুদ, কোতয়ালী থানার সাবেক সভাপতি খলিফা কামাল, ৯০ গনঅভ্যুথানের নেতা কাজী মোহিতুল হাসান বিভুল, এ্যাড. বদিউজ্জামান বাবুল, অমিতাভ বোস, শামসুল হক চৌধুরী প্রমূখ।

শোক সভাটি এক সময় প্রতিবাদ সভায় পরিণত হয়। হাজার হাজার তৃণমূল নেতাকর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই শোক সমাবেশে সমবেত হয় জেলার বিভন্নস্থান থেকে।

বাঁধ ভাঙা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উত্তাল জনসমুদ্রে নেতাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা বিপুল ঘোষ বলেন এই ফরিদপুরে শোষণ, নিপিড়ন, লুটপাট হয়েছে। হেলমেটবাহিনী, হাতুড়িবাহিনীর সন্ত্রাসী নৃশংসতায় ফরিদপুর ছিল বাকরুদ্ধ। আজ আমরা মুক্ত বিহঙ্গ। অপশক্তি যত শক্তিশালী হোক তার নিস্তার নেই।

তিনি সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি’র কথা উল্লেখ করে বলেন উনি অযাচিত সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার প্রশ্রয়ে লেভী-ফুয়াদ হেলমেটবাহিনী হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। আর রুবেল-বরকত হাতুড়ি বাহিনী করে টেন্ডারবাজী, ভ‚মি দখল থেকে শুরু করে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেশের বাহিরে পাচার করেছে। মন্ত্রীর ভাই বাবর ফরিদপুরকে লুটপাট করে খেয়েছে। তিনি এই মহা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর আজ নিঃশ্বাস নিতে শুরু করেছে। আজকের এই প্রতিবাদ সভায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি বলে দেয় সমবেত ঐক্য কি পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে? 

ফরিদপুরে শোক সমাবেশটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন ফরিদপুর আওয়ামলীগের চলছে হাইব্রিড হটাও আন্দোলন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ পুরাতন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সকাল থেকেই হাজির হন সভাস্থলে। একটি সময় মিছিলে মিছিলে জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ন হয়ে যায়। যা ছড়িয়ে পড়ে পুরো জনতা ব্যাংকের মোড় সহ আশে পাশের সড়কে।

সমাবেশ স্থলে আসা কুদ্দুসর রহমান বলেন, আমরা এতদিন ঘরবন্দি অবস্থায় ছিলাম। প্রানের টানে আমরা ছুটে চলে এসেছি আজকের সভায়। সামনের দিনে আমরা এমন ভাবে ফরিদপুর আওয়ামীলীগকে পেতে চাই একটি মঞ্চে।

সজল নামে এক কর্মী বলেন, যেভাবে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ছিলো লুটেরা তা দেখে খুব কষ্ট হতো। কিন্তু এই চির সত্য কথাটি কখনো বলতে পারেনি আমরা। প্রতিবাদের সকল ভাষা হারিয়ে ফেলে ছিলাম।

তুহিন নামে একজন বলেন, একজনের কত টাকা দরকার হয় ভাই বলতে পারেন। আমরা যারা আওয়ামী কর্মী আমাদের কোন চাহিদা ছিলো না। সেই না চাওয়া চাহিদাকে মূল্য না দিয়ে মোশারফ ও বাবর বেছে নিলেন লুটেরাদের। লুট যাদের রক্তে থাকে তারাতো তাই করবে। এখন সময় এসছে এই লুটপাটের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসার।
বিদেশ থেকে এসেছেন সভায় বিল্লাল নামে এক কর্মি তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ আসার পর কত আশা ছিলো দেশে থেকে কাজ করবো। কিন্তু তা আর করতে পারেনি। এরা ক্ষমতায় এসেই আমাদের মতো দূদিনের ত্যাগী নেতা কর্মিদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করে। এখন সময় এসেছে সকল ত্যাগী নেতাদের এক হয়ে এদের বিরুদ্ধে কথা বলার।

ফরিদপুর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিরা মনে করেন দুর্বৃত্ত লুটেরাদের বিরুদ্ধে এখন থেকে এক জোট হতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা আশা করবো সকল ত্যাগী নির্যাতিত নেতারা বিভেদ নয় এক মঞ্চে থেকে দলকে এগিয়ে নেবে। তারা আশা প্রকাশ করেন সাধারন নেতাকর্মিদের মনের ভাষা বুঝেলেই দল আবার সঠিক পথে সামনের দিকে অগ্রসর হবে মুজিব আদর্শে। 

Post Top Ad

Responsive Ads Here