সময় সংবাদ ডেস্ক//
ছুরিকাঘাতে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে গেলেও বন্ধু সাইফুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে শুভ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে শুভ হত্যার দায় স্বীকার করে।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম আদালতে বলেন, নিহত সাইফুল ইসলাম ও আসামি শুভ রায়ের মধ্যে নারীঘটিতসহ নানা বিষয়ে মনোমালিন্য ছিল। ক্ষিপ্ত হয়ে শুভ পরিকল্পিতভাবে সাইফুলকে ছুরিকাঘাতের পর গলা কেটে হত্যা করে।
বুধবার বিকেল চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী বাজার এলাকার বড় মসজিদ মার্কেটের ছাদ থেকে সাইফুলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সাইফুলের বোন লিজা ওই দিন রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাতেই উপজেলার গোপালদী বাজার থেকে হত্যা মামলার আসামি শুভ রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আজহারুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইলের একটি মেয়ের সঙ্গে সাইফুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ বিষয়টি শুভ জানতো এবং ওই মেয়েকে কেন্দ্র করেও দুই সহকর্মীর মধ্যে ঝগড়াও হয়। এসব নানা কারণে শুভ ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত মঙ্গলবার রাতে সাইফুল ও শুভ মসজিদ মার্কেটের ছাদে যায়। সেখানে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শুভ তার সঙ্গে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে সাইফুলের পেটে কয়েকটি আঘাত করে শুভ। এতে নাড়িভুড়ি বের হয়ে গেলে শুভ সাইফুলের গলা কেটে হত্যা করে।
নিহত সাইফুল ইসলাম আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী নয়াপাড়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ওসমান গণির ছেলে ও গোপালদী পৌরসভার উলুকান্দি পূর্বপাড়া এলাকার বাতেন মুন্সির নাতি। সাইফুল ছোটবেলা থেকে মায়ের সঙ্গে তার নানা বাড়িতে বসবাস করত।
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার লাজৈর ইলিয়টগঞ্জ এলাকার শংকর রায়ের ছেলে শুভ রায়। সে উলুকান্দী পূর্বপাড়া এলাকার শুশান্তর ভাগিনা। মামা বাড়িতেই থাকতো শুভ। আসামি শুভ ও তার বন্ধু নিহত সাইফুল গোপালদী বাজারে মনির ফার্মেসিতে চাকরি করতো। সেই সুবাদে দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়।