নগই কর্মকর্তা এহছানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৩, ২০২০

নগই কর্মকর্তা এহছানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

 



ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে অবস্থিত নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটের চিত্র গ্রাহক/গনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আবুল এহছান মিঞার বিরুদ্ধে একটি স্বার্থন্বেষী মহল অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ মহলটি মোঃ আবুল এহছান মিঞার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অবান্তর তথ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটের কতিপয় দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
 

এসব বিষয় নিয়ে কথা হলে নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটের কয়েক কর্মকর্তা জানান, নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর উপ পরিচালকের পদটি সহকারী পরিচালক বা গ্রন্থাগারিক বা নিরাপত্তা কর্মকর্তা বা মহাপরিচালকের একান্ত সচিব বা চিত্র গ্রাহক/গনসংযোগ কর্মকর্তা বা ভান্ডার কর্মকর্তার পদে অনুন্য ৮ বছরের চাকুরী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মকর্তা হতে পদোন্নতির মাধ্যমে পুরোনযোগ্য তবে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে প্রেষনে বদলীর মাধ্যমে পুরোন করা যেতে পারে মর্মে নগই এর চাকুরী প্রবিধানমালা-২০১৯ এর তফসিল ৫নং ক্রমিকে উল্লেখ রয়েছে। এ যাবত নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটে এর এ পদটি প্রায়শই প্রেষনে বদলীর মাধ্যমে পুরোন করা হয়েছে। আবার কখনো কখনো নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটের কর্মকর্তাদের মধ্য হতে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে পুরোন হয়েছে। উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতির ফিডার পদে বর্তমান জ্যোষ্ঠ কর্মকর্তা হিসাবে মোঃ আবুল এহছান মিঞাকে গত ১০-০৮-২০১৬ ইং তারিখে উপ-পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। মোঃ আবুল এহছান মিঞা উপ-পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সরকারের একজন উপ-সচিবকে নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটের উপ-পরিচালক পদে প্রেষনে স্থাপন করা হয়। যার কারনে মোঃ আবুল এহছান মিঞা মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। যার নং- ১০২৫৪/২০১৮। বিভিন্ন সময় স্বার্থন্বেষী মহলটি রিট পিটিশনকে অন্যখাতে ব্যবহার করে সত্য সংবাদকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে।
 

১৯৯৩ সালে নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক চাহিত শিক্ষাগত যোগতার ভিক্তিতে মোঃ আবুল এহছান মিঞাকে ৯ম গ্রেডে পথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ১৯৯৮ সালে চিত্র গ্রাহক/গনসংযোগ কর্মকর্তা পদে নিয়োগবিধি পরিবর্তন করে ¯œাতকসহ ফটোগ্রাফিতে ডিপ্লোমা সন্নিবেশিত করা হলে আইন মন্ত্রনালয় কতৃক পূর্বের নিয়োগকৃত কর্মকর্তার উপর প্রযোজ্য হবে না বিধায় মোঃ আবুল এহছান মিঞা ৯ম গ্রেড পেতে আইনগত ভাবে অধিকারী এবং উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি পাবেন মর্মে মতামত প্রদান করায় পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় সে আলোকে পরিপত্র জারি করে।
 

এ বিষয়ে মোঃ আবুল এহছান মিঞা জানান, একটি স্বার্থন্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ চক্রটি নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটে নানা অপকর্ম করছে। তিনি এসব অপকর্মে বাঁধা প্রদান করায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে তার সুনাম নষ্ট করছে। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য (১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুর রশিদ মিঞার দ্বিতীয় পুত্র) হওয়ায় জামাত-বিএনপি জোট সরকারের আমল থেকে নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটে কর্মরত জামাত-বিএনপি চক্রটি সর্বদা আমার পদোন্নতি ব্যাহত করার জন্য তৎপর থাকে। তারা বেনামী পত্র প্রেরন করে স্থানীয় প্রভাব খাঁটিয়ে নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটের প্রশাসন দ্বারা বিভাগীয় মামলা ও একাধিক মনগড়া অভিযোগ এনে আমাকে জর্জরিত করে। এ বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের নিকট সুষ্ঠ বিচারের জন্য আমি আবেদন করি। সিনিয়র সচিব মহোদয় বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে কোন সত্যতা না পেয়ে আমাকে বিভাগীয় মামলা ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে। আমি প্রভাব খাটিয়ে অনেক কিছু করেছি বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি প্রজাতন্ত্রের ৯ম গ্রেডের একজন ক্ষুদ্র কর্মচারী হয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে প্রভাব খাটানোর কোন সুযোগ নেই। মোঃ আবুল এহছান মিঞা আরো বলেন, নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউটকে ধ্বংস করতে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ চক্রটির এসব কাজে বাঁধা প্রদানের কারনেই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করাচ্ছে। আমি এসব সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
 

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নদী গবেষনার ভিতরে এই চক্রটি বিভিন্ন সময়ে ভালো ভালো অফিসারকে বিপদে ফেলে স্বার্থ হাসিল করে আসছে। তাদের দ্বারা এহাছান মিঞা সহ অনেক সৎ অফিসার নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। বিশিষ্টজনের মত নদী গবেষনার মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে এই চক্র এর হাত থেকে বাচাঁতে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী।



Post Top Ad

Responsive Ads Here