JAYPURHAT:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় শিশু আরাধাকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত
সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের উত্তম কুমার সরকার, বিরেন চন্দ্র বর্মন বিরেশ, সন্তেষ সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান ও ওবাইদুল ইসলাম। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন বিচারক।
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের পরেশ চন্দ্রের আড়াই বছরের শিশুকন্যা আরাধা রানী বাড়ির পাশে খেলা করছিল। ওই সময় শিশুটিকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করেন দণ্ডিতরা। মুক্তিপণ না পেয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর শিশুর লাশ রশিদপুর মোলান বাজারের একটি পুকুরে ফেলে দেন তারা। এ ঘটনায় শিশুর বাবা পরেশ চন্দ্র মামলা করেন। পরে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের মধ্যে উত্তম কুমার, বিরেন চন্দ্র ও ওবায়দুল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে সোমবার এ রায় দেন বিচারক।
আদালত সূত্র জানায়, প্রথমে অপহরণ মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে একই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড ও জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় উত্তম কুমার সরকারকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্য চারজনের তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।