যশ’ এর প্রভাবে বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, মে ২৬, ২০২১

যশ’ এর প্রভাবে বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত


 

সময় সংবাদ ডেস্কঃ


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এর প্রভাবে ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঠালিয়ার নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে। জেলার নিম্নাঞ্চলে এরই মধ্যে পানি ডুকেছে। 

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ ও কাঠালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার বিষখালী তীরের বাঁধের একটা অংশ ভেঙে পানি ঢুকে বাড়ির আঙ্গিনাসহ তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ। এতে আতঙ্কে রয়েছেন বাঁধ ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দারা। 


কাঠালিয়া সদর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বড় কাঠালিয়া, পূর্ব কচুয়া, লতাবুনিয়া, রঘুয়ার দড়ির চর, সোনার বাংলা, আওরাবুনিয়া, জাঙ্গালিয়া, ছিটকী ও আমুয়া, ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি, নতুন কলাবাগান, পৌরসভা খোয়াঘাট এলাকা, রাজাপুরের বাদুরতলা লঞ্চঘাট, নাপিতের হাট, চল্লিশ কাহনিয়া এলাকাসহ সুগন্ধা-বিষখালী নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৪৫টির অধিক গ্রামে পানি ডুকেছে। এর মধ্যে অধিক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সকাল থেকেই থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের গতি বেগসহ পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।


বিষখালী নদীর পাড়ের বাসিন্দা আ. রব খান বলেন, ‘ঝড়-বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলে আমরা খুবই আতঙ্কে থাকি। বিশেষ করে রাতে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসে থাকি। কখন বাড়ি-ঘর ভেঙে নদীতে চলে যায়। আজ দুপুরে হঠাৎ করে নদীর বাঁধ ভেঙে যেভাবে পানি উঠতেছে এতে খুবই বিপদে আছি।’




কলেজ শিক্ষার্থী মো. জহিরুল লিমন বলেন, বহু বছর ধরে লঞ্চঘাট এলাকা ভেঙে নদী বিলীন হয়ে গেছে। গত বছর লঞ্চলঘাটের ৩শ’ মিটার এলাকায় বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলানো হয়েছে। কিন্তু উত্তর সাইডে কিছুই ফেলানো হয়নি। পানির স্রোতের চাপে প্রতিদিন নদী ভাঙছে। আজ বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে আমাদের এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। রাতে পানি আরো বাড়বে। আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। তাই দ্রুত এ বাঁধটি মেরামত করা জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানাই।


কাঠালিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান জানান, সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। তবে উপজেলা পরিষদের পেছনের বিষখালী তীরের বাঁধের কিছু অংশ ভেঙেছে। কিন্তু তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুম, ৬টি মেডিকেল টিমসহ প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ৬৩টি কমিটির সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।


কাঠালিয়ার ইউএনও সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদে জরুরি সভা আহবান করা হয়েছে। 


ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এর প্রভাবে কাঠালিয়ায় বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত 

ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এর প্রভাবে কাঠালিয়ায় বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত 



ঝালকাঠি জেলায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৪টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ৫৯টি সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেয়া ও ৪৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপ দেয়া হয়েছে। ৩৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রেগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা, তৃণমূল পর্যায়ে মাইকিং করা, স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়েছে।

 

ডিসি মোহাম্মদ জোহর আলীর সভাপতিত্বে ঝালকাঠি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ভার্চ্যুয়ালি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা-উপজেলা কর্মকর্তা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বেসরকারি সদস্যরা ভার্চ্যুয়ালি সভায় অংশ নেন। 

Post Top Ad

Responsive Ads Here