সময় সংবাদ ডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ শক্তি বাড়িয়ে প্রবল রূপ নিয়েছে। বুধবার সকালে যশ আছড়ে পড়তে পারে উপকূল এলাকায়। ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণিমার সময় আঘাত হানায় জলোচ্ছ্বাস আরও শক্তিশালী হবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।
জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল বলেন, ২৬ মে ভরা পূর্ণিমা। ফলে চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবী একই অক্ষে অবস্থান করবে। চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত অভিকর্ষে ওই দিন উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক নিয়মেই দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হবে।
অন্যদিকে বুধবার ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটের দিকে ঘটবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টা ৫১মিনিট ৫৮ সেকেন্ডে। গ্রহণ মোক্ষ হবে রাত ২ টা ৫২ মিনিটের দিকে। এবারের পূর্ণিমার নাম দেয়া হয়েছে ‘ব্লাড মুন’। এটিই ২০২১ সালের প্রথম ও শেষ ‘ব্লাড মুন’।
ঘূর্ণিঝড় যশ যদি সকাল বা রাতে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে তাহলে তার প্রভাব আরো প্রবল হবে। এমনিতেই গতি বাড়িয়েছে যশ। ঘূর্ণিঝড় যত স্থলভাগের দিকে এগোবে ততো তার গতি বাড়বে। তাই পূর্বাভাসে দেয়া সময়ের আগেই ধাক্কা মারতে পারে যশ!
আজ দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্ণিমার একদম মোক্ষম সময়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তীব্রতা আরো বাড়তে পারে।