২০ কিলোমিটার বাঁধ উচ্চ ঝুঁকিতে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, মে ২৫, ২০২১

২০ কিলোমিটার বাঁধ উচ্চ ঝুঁকিতে

 

খুলনা প্রতিনিধিঃ

আম্ফানের পর এক বছর অতিবাহিত


হলেও খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে এখনো জরাজীর্ণ পাউবোর বেড়িবাঁধ। যা নিয়ে আতঙ্কে সময় পার করছেন উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বেড়িবাঁধ এলাকার সাধারণ মানুষ। আর এই আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ ধেয়ে আসার খবরে।

এদিকে নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধের বাইরে ও কাছাকাছি বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কাও বিরাজ করছে।


খুলনা পাউবো সূত্র জানায়, জেলায় ৮৭০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২০ কিলোমিটার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে স্থানীয়দের মতে, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের দৈর্ঘ্য আরো বেশি হবে।


জানা গেছে , প্রায় প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেড়িবাঁধ ভাঙনে খুলনার উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়। লবণাক্ত পানির কারণে এ এলাকার অবকাঠামো তথা রাস্তা ঘাটের ক্ষতিসাধন হয়, নষ্ট হয় ঘরবাড়ি, ফসল। ঘূর্ণিঝড় আসলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ গাছপালা, আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন কয়েক হাজার বাসিন্দা।



খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে এখনো জরাজীর্ণ পাউবোর বেড়িবাঁধ। যা নিয়ে আতঙ্কে সময় পার করছেন উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বেড়িবাঁধ এলাকার সাধারণ মানুষ।

খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে এখনো জরাজীর্ণ পাউবোর বেড়িবাঁধ। যা নিয়ে আতঙ্কে সময় পার করছেন উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বেড়িবাঁধ এলাকার সাধারণ মানুষ।



উপকূলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড় বিধস্ত খুলনাঞ্চলের উপকূলে দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় অধিকাংশ বাঁধের বেহাল দশা। জোয়ার একটু বেশি হলেই বাঁধ ছাপিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করলেও সঠিক তদারকি নেই কর্তৃপক্ষের। প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের আঘাতে উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একটির ক্ষত পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার নতুন আঘাত হানে তাদের ওপরে অন্য কোনো ঘূর্ণিঝড়।


খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, খুলনা ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে কয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার আওতাধীন নয়, ঝুঁকিপূর্ণ এ উপজেলাটি সাতক্ষীরা পাউবোর অধীন। ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় পাঁচ হাজার জিও ব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ মজুত রয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে খুলনা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার রাত ৮ টার দিকে হালকা বাতাসের সাথে বৃষ্টি শুরু হয়। যা থেমে থেমে রাত ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মধ্যে।


বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। সেই সঙ্গে প্রস্তুত রয়েছে ১১৬টি মেডিকেল টিম।


খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে এখনো জরাজীর্ণ পাউবোর বেড়িবাঁধ। যা নিয়ে আতঙ্কে সময় পার করছেন উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বেড়িবাঁধ এলাকার সাধারণ মানুষ।

খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে এখনো জরাজীর্ণ পাউবোর বেড়িবাঁধ। যা নিয়ে আতঙ্কে সময় পার করছেন উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বেড়িবাঁধ এলাকার সাধারণ মানুষ।



কোভিড-১৯ এর কারণে সংক্রমণ রোধে আশ্রয়কেন্দ্রের সক্ষমতার অর্ধেক মানুষকে একটি কেন্দ্রে রাখা হবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার, অর্থ, চাল-ডাল প্রস্তুত রয়েছে। সরকারি নিদের্শনা মোতাবেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।


খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় খুলনার নয় উপজেলায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে সাইক্লোন সেন্টার, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা রয়েছে। যেখানে ৫ লাখ লোকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ১১৬টি মেডিকেল টিম। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here