নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রতারণা করে ১১শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানার দায়ের করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান তিনজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি হলেন, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ।
এর আগে, এ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সোনিয়া দম্পতিসহ তিনজনের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, গত ১৭ আগস্ট প্রতারণার অভিযোগে মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী বাদী গুলশান থানায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- সোনিয়া মেহাজাবিন, মাসুকুর রহমান, আমানুল্লাহ, বিথী আক্তার, কাওসার ও ই-অরেঞ্জের সব মালিক। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে কতজন মালিক রয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি মামলায়। একইদিন আসামি সোনিয়া ও তার স্বামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিকের আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ১৮ আগস্ট গুলশান থানার প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ই-অরেঞ্জেররেঞ্জের পাঁচজনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তা মঞ্জুর করে তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়, যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। এ শর্তেও বারবার নোটিশের নামে ভুক্তভোগীদের পণ্য ডেলিভারি না করে প্রতারণা করে যাচ্ছে।
‘ভুক্তভোগীরা ই-অরেঞ্জের অফিসে গিয়ে ডেলিভারি দেওয়ার কথা বললে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তারা ও মালিকপক্ষ জানান কিছুদিনের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীদের প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, করোনাকালীন ভুক্তভোগীদের কষ্টার্জিত অর্থের নিশ্চয়তা না দিয়ে ই-অরেঞ্জ তাদের মালিকানা পরিবর্তনের নামে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। নতুন মালিক ও পুরাতন মালিকের কোনো তথ্য ভুক্তভোগীদের সামনে প্রকাশ করা হচ্ছে না। এছাড়াও আসামিরা সবধরনের অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।