জেলা প্রতিনিধিঃ
হেফাজতের তাণ্ডবে পুড়িয়ে দেওয়ার সাত মাস পেরুলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। একটি মাত্র আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়া দূরপাল্লার সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ রয়েছে এই স্টেশনে।
এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট অঞ্চলে যাতায়াত করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন জেলাবাসী। দ্রুত সময়ে স্টেশনটি সচল করার দাবি বিভিন্ন সংগঠনের। এখনও স্বাভাবিক হয়নি হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের কার্যক্রম।
চলতি বছরের ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এতে রেলস্টেশনটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সব ধরনের ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে। পরে স্টেশনটিকে বি ক্যাটাগরি থেকে ডি ক্যাটাগরিতে অবনত করা হয়।
এতে গত জুন মাস থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে চলাচলকারী পারাবত এক্সপ্রেস এবং ৫ জোড়া লোকাল ও মেইলট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু হয়। যদিও এ স্টেশন থেকে কোন টিকিট বিক্রি হয় না। তবে আখাউড়া, আশুগঞ্জ ও ভৈরব থেকে আগাম টিকিট কিনতে হয় এখান থেকে যাবার জন্য। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে চলাচলরত ১৯ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের শিকার জেলাবাসী।
এ দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুর্ভোগ লাঘবে সব ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি যাত্রীদের।
এ দিকে ট্রেনের যাত্রা বিরতির ব্যবস্থা না করা হলে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেন জেলা নাগরিক ফোরামের সহসভাপতি নিহার রঞ্জন সরকার।
যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে শিগগিরই স্টেশনটি চালুর কথা জানান জেলা প্রশাসন হায়াত-উদ-দৌলা খান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন থেকে প্রতিদিন ৫ হাজার যাত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট অঞ্চলসহ সারা দেশে যাতায়াত করেন। আর রাজস্ব আয় হয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা।