ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা চিনিকলকে আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। চিনিকল গুলোতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে নতুন যন্ত্রপতি স্থাপন করা হবে। চাষীদের অধিক ফলনশীল জাতের আখ চাষের কর্মসূচী রয়েছে বলে জানান শিল্প মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে রাজশাহী চিনিকল পরিদর্শনে করেছেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। ওই সময় তিনি বলেছেন চিনকলগুলো আধুনিকায়ন হলে বৃদ্ধি পাবে চিনির উৎপাদন। উন্নত জাতের আখ চাষের ফলন বেশি হবে। একই সাথে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেবে চিনকল। স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কর্মরত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতার সমস্যাও থাকবে না।
রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা চিনিকলকে আধুনিকায়ন করতে বিদেশি সহায়তা আনার প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। দেশের চিনিকলগুলোতে বছরের পর বছর লোকসান চলামান আছে। এই বড় ধরনের অর্থের লোকসান থেকে লাভের কথা চিন্তা করেই চিনিকল আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চিনিকলে লোকসান হওয়ায় গত বছর কুষ্টিয়া, পাবনা, পঞ্চগড়, রংপুরের শ্যামপুর, এবং দিনাজপুর সেতাবগঞ্জ চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ করা হয়। তবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চিনিকলগলো আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনায় আশার আলো দেখছে চিনিকল সংশ্লিষ্টরা। বর্তমান আখ চাষ বৃদ্ধির তৎপর হয়ে উঠেছে কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, ‘শুনেছি আধুনিকায়ন হবে চিনিকল। গত কয়েক বছর চাষিদের মাঝে সার, বীজ ও কিটনাশক ঋণ দেওয়া বন্ধ ছিল। আখ চাষ বাড়ানো লক্ষে তার পূনরাই ঋণ চালু করা হয়েছে। চিনিকল কর্তৃপক্ষ আখচাষীদের সাথে যোগাযোগ ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা রাজশাহী চিনিকল পরিদর্শন কালে বলেছেন, ছয়টি চিনিকল বন্ধ রয়েছে। পূনরাই এগুলো চালু করা হবে। রাজশাহীর শ্রমিক-কর্মচারীরা উজ্জীবিত। এই চিনিকলগুলো থেকে রাজশাহীতে স্থায়ী ৮৪ জন কর্মচারী পাঠানো হয়েছে। আগামি মৌসুমে (২০২১-২২) ৭৫ জন মৌসুমি শ্রমিক কাজে আসবে। এক সাথে ১৬৯ শ্রমিক-কর্মচারী আসা ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিদর্শন ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তারা।’
চিনিকল আধুনিকায়নে দাপ্তরিক কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলছে। তবে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা রাজশাহী চিনিকল পরিদর্শন করছেন। উন্নত জাতের আখ চাষ করা হবে। বাড়বে চিনি উৎপাদন। একই সাথে হবে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান। ফলে এই অঞ্চলের অর্থনীতির চিত্র বদলে যাবে বলে মনে করছেন, রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির।
আখ চাষের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। আখের সাথে সহযোগী পণ্যও বিবেচনায় রয়েছে। বিদেশী অর্থ সহযোগিতা নেয়ার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন ধারণা ব্যবহার করে চিনিকল কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। যার পেক্ষাপটে প্রতি বছরে নির্দিষ্ট পরিমান আখ উৎপাদন করতে হবে। কারখানা গুলো এখন হয়তো চলছে ৪০ থেকে ৫০ দিন। কিন্ত চিনিকল গুলো ০৪ মাস চালানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এবং বিএসএফআইসি এর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক (অ.দা) মু. আনোয়ারুল আলম।