আবারও পেছাল আবরার হত্যা মামলার রায় - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Sunday, November 28, 2021

আবারও পেছাল আবরার হত্যা মামলার রায়


  


সময় সংবাদ ডেস্কঃ



বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ দিন ধার্য করেন।


এদিন (রোববার) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। নতুন দিন ধার্যের সময় পলাতক তিন আসামি ছাড়া বাকি আসামিরা আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সেটি প্রকাশ করা হয়নি।


এর আগে, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া জানান, মামলায় ২৫ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। হত্যার অভিযোগ প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। ১৪ নভেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিনটি (রোববার) ধার্য করেন আদালত।







নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলের খুনের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড যেন হয়। কেউ যেন খালাস না পায়। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক, যেন পড়াশোনা করতে এসে কেউ নির্যাতনের শিকার না হয়। কেউ যেন হত্যা করার সাহস না পায়।


উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই ২৫ জনের মধ্যে ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন তিনজন।


জানা গেছে, আবরারের বাবা আদালতে সাক্ষ্যদানকালে বলেছেন, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে ক্রিকেট স্ট্যাম্প, লাঠিসোঁটা ও রশি দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করেন। ফলে তার ছেলে মারা যায়। পরে আসামিরা মরদেহ হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে ফেলে রাখেন।


আবরার হত্যা মামলার ২২ আসামি হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. আকাশ হোসেন, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, অমিত সাহা, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান ও এস এম মাহমুদ সেতু।


পলাতক তিন আসামি হলেন- মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।

No comments: