নিজস্ব প্রতিবেদক:
সূর্যের উপরি তল দিয়ে উড়ে গেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একটি মহাকাশযান। এটিই ইতিহাসের প্রথমবারের মতো সূর্যর বাহ্যিক আবহাওয়ায় সফলভাবে মহাকাশযান প্রেরণের ঘটনা। একে ঐতিহাসিক অর্জন বলে আখ্যায়িত করেছে নাসা। সংস্থাটি জানিয়েছে, পার্কার সোলার প্রোব নামের ওই মহাকাশযানটি কিছু সময়ের জন্য সূর্যর উপরি অংশ যা ‘করোনা’ নামে পরিচিত, সেটি ভেদ করে উড়ে যায়।এবং সেখানে চৌম্বক ক্ষেত্র এবং কণার নমুনা নিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে পার্কার সোলার প্রোব ২৮ এপ্রিল এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিল, তবে তথ্য বিশ্লেষণের পরেই তারা এটি নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। পার্কার মহাকাশযানকে প্রচণ্ড তাপমাত্রা সহ্য করতে হয়েছে এই মিশনের জন্য। তবে এরমধ্য দিয়ে সূর্য কীভাবে কাজ করে সে বিষয়ে অজানা অনেক তথ্যও উদঘাটন করা গেছে।
ওয়াশিংটনে নাসা সদর দফতরের বিজ্ঞান মিশন অধিদপ্তরের সহযোগী প্রশাসক টমাস জুরবুচেন বলেছেন, "পার্কার সোলার প্রোব "সূর্য স্পর্শ করা" সৌর বিজ্ঞানের জন্য একটি স্মৃতিময় মুহূর্ত এবং সত্যিই একটি অসাধারণ কীর্তি৷তার বিবৃতিতে, ঘঅঝঅ বলেছে যে এই অর্জন বিজ্ঞানীদের সূর্য এবং আমাদের সৌরজগতে এর প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কার করতে সহায়তা করবে।
নাসার গবেষক নিকোলা ফক্স বলেন, চাঁদের বুকে পা রাখার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেড়েছিলেন এটি কি দিয়ে তৈরি। সূর্যকে স্পর্শ করাও মানবজাতির জন্য এক বড় পদক্ষেপ। এরমধ্য দিয়ে আমাদের সবথেকে কাছের নক্ষত্রটি কীভাবে তৈরি এবং আমাদের সৌরজগতে এর প্রভাব কেমন তা উদঘাটনের পথে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেলাম।
পার্কার প্রোবটি ২০১৮ সালে সূর্যের বারবার এবং ক্রমবর্ধমান কাছাকাছি পাস করার জন্য চালু করা হয়েছিল।তাইলে প্রায় তিন বছর আগে এই মহাকাশযানটি পাঠানো হয়। এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে সূর্যর যত কাছে যাওয়া যায়, তত কাছ থেকে একে পর্যবেক্ষণ করে যাওয়া। মহাকাশযানটি তাপের ক্ষতি এড়াতে দ্রুত প্রবেশ করতে এবং দ্রুত বের হতে সক্ষম করার জন্য প্রতি ঘণ্টায় ৫ লাখ কিলোমিটার বেগে চলছে। এ কারণে এটি দ্রুত সূর্যর উপরি তলে প্রবেশ করে আবার বেড়িয়ে আসতে সক্ষম।
মোঃসাইফুল্লাহ
সময় সংবাদ