বঙ্গোপসাগরে মিথেন গ্যাসের সন্ধান মিললো - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, জানুয়ারী ০৫, ২০২২

বঙ্গোপসাগরে মিথেন গ্যাসের সন্ধান মিললো




বঙ্গোপসাগরে মিথেন গ্যাসের সন্ধান পেল বাংলাদেশ


বঙ্গোপসাগরে মিথেন গ্যাসের সন্ধান পেল বাংলাদেশ



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে মিথেন গ্যাসের (গ্যাস হাইড্রেন্ট) অস্তিত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ। সমুদ্রে এক গবেষণা সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২২০ প্রজাতির সি-উইড (ঝবধবিবফ), ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া ও ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়েছে।


বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘গ্যাস হাইড্রেন্ট ও সামুদ্রিক জেনেটিক সম্পদের ওপর গবেষণার ফলাফল’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রতিনিধিসহ নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক গবেষকরা গত দুই বছরে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় গবেষণা কার্যক্রমের ভিত্তিতে এ ফলাফল পেয়েছেন। যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডস এ গবেষণায় সহায়তা করেছে। 


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইস অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) মোহাম্মাদ খুরশেদ আলম।


খুরশেদ আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমরা বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে যতটুকু এলাকা জরিপ করেছি তাতে আমরা ধারণা করছি, ন্যূনতম ১৭ থেকে ১০৩ টিসিএফ গ্যাস হাইড্রেন্ট মজুত রয়েছে সেখানে। 


মেরিটাইম সচিব বলেন, অফশোর জ্বালানি, সুনীল বায়োটেকনোলজি গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সমুদ্রাঞ্চলে গ্যাস হাইড্রেট এবং মেরিন জেনেটিক রিসোর্স বিশেষত সি-উইড এর সম্ভাবনা, উপস্থিতি, প্রকৃতি ও মজুদ নির্ণয়ের জন্য দুটি গবেষণা কার্যক্রম যথাক্রমে যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের সহায়তায় সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ২২০ প্রজাতির সি-উইড, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া, ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়।


প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক গ্যাস হাইড্রেট গভীর সমুদ্রের তলদেশে বা পারফ্রোফট জমিতে থাকে। এটি ‘জ্বলনশীল বরফ’, ‘কঠিন গ্যাস’ কিংবা ‘গ্যাস বরফ’ হিসেবেও পরিচিত।


প্রাকৃতিক গ্যাস হাইড্রেটে ৮০ শতাংশ থেকে ৯৯.৯ শতাংশ মিথেন উপাদান রয়েছে। কয়লা, তেল ও অন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের তুলনায় এটির দহন দূষণ অনেক কম ও সমৃদ্ধ সমৃদ্ধশালী। এটি ভবিষ্যতের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এক হাজার বছরের জন্য বিশ্বব্যাপী সংরক্ষিত রয়েছে।

মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ

Post Top Ad

Responsive Ads Here