নির্বাচন কমিশন (ইসি)- ফাইল ফটো |
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পাঁচ দিনের বিরতির পর আগামীকাল সকাল ১১টায় সংসদের মুলতবি অধিবেশন শুরু হবে। এই অধিবেশনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত বিল বা খসড়া আইন সংসদে উত্থাপন করা হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে।
সংসদের ওয়েবসাইটে দেওয়া রোববার অধিবেশনের আলোচ্যসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
একই দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
সিইসি ও ইসি নিয়োগের যোগ্যতা বর্ণনা করে সচিব বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হতে হলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স কমপক্ষে 50 বছর হতে হবে। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি বা বিচারিক পদে কমপক্ষে 20 বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সংবিধানের ১১৬ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হচ্ছে। কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তার আগে রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পর গেজেট প্রকাশের জন্য চার সপ্তাহ সময় রয়েছে।
সংসদ কর্মকর্তারা বলেছেন, বিলটি সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনের জন্য খুব কম সময় দেওয়া হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিলটি পাস করা হবে। এটি পাস হলে নতুন নির্বাচন কমিশন আইনের আলোকে সিইসি ও ইসি নিয়োগ দেওয়া হবে।
ইসি গঠনে কোনো আইন না থাকায় তৃতীয়বারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
২০১১ সালে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ইসি গঠন নিয়ে প্রথম সংলাপ শুরু করেন। এই সংলাপে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন এবং স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানিয়েছে।
মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ