তিন দিন ধরে কাজ পাইনি - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, জানুয়ারী ০৫, ২০২২

তিন দিন ধরে কাজ পাইনি

 

তিন দিন ধরে কাজ পাইনি
তিন দিন ধরে কাজ পাইনি



ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: 

“আজ তিন থেকে কাজ পাইনি। আর হামার ভোট লেহেনে ওই হচে বলে, খালেদা জিয়া হচে, শেখ হাসিনা হচে বলে, হচে আলমঙ্গীর। কিন্তু গরিবের কোন মূল্য নাই আবার গরিবের ভোট লেহেনে বাহাদুরি দেখাচে। যাহে খালি ভোটটা দিলেন তাহা উয়ায় হেলিকাপ্টারত ঘুরে বেড়াচে। হামার হেলিকাপ্টার কেনহে সাইকেল লাও নাই।” এমনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের শ্রমিক সুনিল। 


০৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে শহরের চৌরাস্তায় কাজের জন্য আসেন সুনিল। এসময় তিনি মনের আক্ষেপে এসব কথা বলেন।  


আকচা ইউনিয়নের কামাড় পাড়া গ্রামের মুক্তিরাণী বলেন, ঠান্ডায় বাইড়ে বের হওয়া যায় না। ঠিকভাবে কাজ করা যায় না। শীতে কাপড়তো লাগেই। নাই বলে খুব কষ্ট হলেও এইভাবেই চলি। এছাড়াতো উপায় নাই। 


দক্ষিণ ঠাকুরগাঁওয়ের আশারু বর্মন বলেন, শীতের জন্য বিশেষ করে শিশুদের খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রায় শিশুর কাশি জ¦রসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ নিয়ে তারা খুব সমস্যায় আছে বলে জানান তিনি। 


এছাড়াও এসময় অটো রিক্সা চালক শাহজাহানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রচুর ঠান্ডায় রিক্সা চালাইতে ও গাড়ির জমার টাকা ঠিক মতো আয় করতে পারিনা। এমন অবস্থায় কিভাবে মালিককে জমা দিবো ও সংসার চালাবো। সরকার থেকে কিছু করে দিলে ভালো হইতো। ঠান্ডায় কম্বল দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কম্বল বা শীতের কাপড় পাইলাম না।


অন্যদিকে শহেরর কাজের জন্য আসা আব্বাস আলী নামে এক শ্রমিক জানান, এ পর্যন্ত আমি একটা কম্বল পাইলাম না। মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে যাই তারা বলে আমাদের কাছে নাই। আমরা গরিব মানুষরাই কম্বল পাইনা। 


জেলা প্রশাসক জানান, শীতবস্ত্র বিতরণ চলমান। যেহেতু প্রতি বছর ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের প্রকোপ বেশি হয় তাই সরকারের কাছে চাহিদা অনুযায়ী আরও ১ লক্ষ কম্বল ও ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। 


নভেম্বর থেকে এ জেলায় শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে জেলায় শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। রাত থেকে ঝির ঝির বৃষ্টির মতো ঝড়তে থাকে কুয়াশা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্য্যরে দেখা মেলেনা। দুপুর ১টার পরে একটু-আধটু সূর্য্যরে দেখা মিললেও তাপমাত্রা থাকে কম। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। 


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, ০৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী ও সর্বোচ্চ ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস নির্ণয় করা হয়। এমন পরিস্থিতি আরও কিছু দিন থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে বলে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ মোঃ আব হোসেন।

মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ 

Post Top Ad

Responsive Ads Here