নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। শিমু হত্যার অভিযোগে তার স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে অভিনেত্রীকে।
দাফনের আগে রাত ৮টায় গ্রিন রোডের স্টাফ কোয়ার্টারে শিমুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দাফনের পরদিন (১৯ জানুয়ারি) শিমুরার জন্য মিলাদ আয়োজন করা হয়। এ সময় শিমুর শ্বশুর ও ননদসহ পরিবারের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। শিমুর বাবার পরিবারের অনেকেই মিলাদে অংশ নেন। সেখানে প্রয়াত অভিনেত্রীর দুটি সন্তানও ছিল।
শহিদুল ইসলাম খোকন বলেন, শিমুর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন সবাই। এই নিষ্ঠুর পরিস্থিতিতে শিশুরা খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে। মিলাদ শেষে শিমুর দুই সন্তানকে ছোট খালার বাড়িতে রেখে আসি। শিমুরার পর খালা (ফাতেমা নিশা) দুই সন্তানকে পছন্দ করেন।
তিনি আরও জানান, শিমুর শ্বশুর ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারাও হতবাক। এমন নির্মম ঘটনায় তারাও বাকরুদ্ধ। শিমু-নোবেলের দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এই মুহূর্তে না ভেবে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তারা।
মামলার বিষয়ে খোকন বলেন, শিমুকে হত্যার কথা স্বীকার করে আমরা তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তার সহযোগী ফরহাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। দুই পরিবারের কেউই বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী শিমুর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৯৭ সালে। তিনি প্রায় ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এছাড়া তিনি অর্ধশতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। একটি টিভি চ্যানেলের মার্কেটিং বিভাগেও কাজ করেছেন। ফিল্ম অ্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ হারিয়েছেন এমন ১৬৪ জনের একজন শিমু। ভোটের অধিকারের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি।
মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ