জেলা প্রতিনিধিঃ
দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাওয়ায় বাবা সাজ্জাদ হোসেনকে হত্যা করেছেন ছেলে স্বপন। বাবাকে হত্যার পর মরদেহ বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন ছেলে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে রাজশাহী নগরীর দামকুড়া থানার পাটনিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঐ এলাকা থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ছেলে স্বপনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, নিজের বাবাকে হত্যা করে পরদিন থানায় গিয়ে বাবা নিখোঁজ জানিয়ে পুলিশের সহায়তা চান স্বপন। পরে সন্দেহ থেকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বপন স্বীকার করেছেন, বছরখানেক আগে তার মা মারা গেছেন। এরপর থেকেই বাবা দ্বিতীয় বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লাগেন। সম্পত্তি বেহাত হওয়ার শঙ্কায় বাবার দ্বিতীয় বিয়েতে আপত্তি জানান স্বপন। এনিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এরই জেরে বাবাকে হত্যা করেন ছেলে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, ঘুমন্ত বাবাকে প্রথমে মুখে প্লাস্টিক দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা চালান স্বপন। ব্যর্থ হয়ে পরে চাকু দিয়ে বাবার গলা কাটেন। পরে মরদেহ বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। পরদিন স্বপন নিজেই থানায় যান।
তিনি আরো জানান, বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে পুলিশকে জানান। ঐ সময় তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা পায় পুলিশ। জেরার মুখে বাবাকে হত্যার পর মরদেহ গুম করার চেষ্টার কথা স্বীকার করেন স্বপন। পরে ঐ রাতেই পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ছেলের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।