সকল ধরনের শপিংমল রাত ৮টা ও রাত ১০টার মধ্যে সকল হোটেল বন্ধের নিদের্শ রাঙ্গামাটিকে রেড জোন ঘোষনা দেয়ার পর থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ কার্যকর করতে মাঠে প্রশাসন |
মহুয়া জান্নাত মনি, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ঃ
করোনার সংক্রমণ বাড়ায় রাঙ্গামাটিকে রেড জোন ঘোষনা দেয়ার পর রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে করোনা সচেতনতামুলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ঢাকা ও রাঙ্গামাটি জেলাকে করোনা সংক্রমণে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর করোনা ভাইরাস ও ওমিক্রন বিস্তার ঠেকাতে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ এবং গণপরিবহনে যাত্রী অর্ধেকসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আর সরকারের নিদের্শনা প্রতিপালন কার্যকর করতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন জরুরী সভাসহ রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম কার্যক্রম বাড়ানোরসহ রাত ৮টার মধ্যে সকল দোকান পাট বন্ধ, পর্যটন স্পষ্ট গুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক সংখক পর্যটক ও মাক্স নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
সরকারের জারী করা সকল নির্দেশনা বাস্তবায়ন তদারকি করতে জেলা প্রশাসনের একাধিক মোবাইল টিম কাজ শুরু করেছে জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোতে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসন করোনা সচেতনতা মুলক প্রচারণা করে রাত ৮টায় সব ধরনের দোকান পাট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধ প্রতিপালনের লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। আমাদের ৩টি মোবাইল কোর্ট শহরসহ উপজেলাগুলোতে কাজ করছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে। সকল ধরনের শপিংমল রাত ৮টা ও রাত ১০টার মধ্যে সকল হোটেল বন্ধ সহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নিদের্শনা বাস্তবায়নে তৎপরতা চালানো হবে। এতে কেউ যদি নিদের্শনা না মানে তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন বলেন, রাঙ্গামাটিতে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি যাতে অনুসরণ করা হয় তার জন্য সচেতনামূলক কাজ শুরু করা হয়েছে। তাই সরকারের নিদের্শ মোতাবেক সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। এই বাপারে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তাই সরকারের দেয়া নিদের্শনা পালনে সবাইকে আহবান জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ড. বিপাশ খীসা জানান, রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে আলাদা ইউনিট প্রস্তুতি রাখা হয়েছে এবং সেন্ট্রাল অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। আগে রোগীকে অক্সিজেনের জন্য চট্টগ্রাম যেতে হতো এখন আর যেতে হবে না। অক্সিজেন ছাড়া অন্যকোন কারণে হয়তো রোগীকে চট্টগ্রামে যেতে হবে। তবে অক্সিজেনের জন্য রোগীদেরকে আর চট্টগ্রামে যেতে হবে না।
রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায় তার জন্য জনগণকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাসহ সবাইকে মাস্ক ব্যবহার এবং করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার আরোপিত ১১ দফা বিধিনিষেধ প্রতিপালনের সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছে অভিজ্ঞ মহল।
মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ