ফাইল ফটো |
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বুধবার দুপুর পর্যন্ত দেশের নদীতীরবর্তী এলাকায় কুয়াশা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা এক হাজার মিটারের নিচে নেমে গেলে এবং কুয়াশার তীব্রতা বেশি হলে আমরা সাধারণত কুয়াশার সতর্কতা জারি করি। মূলত যানবাহন চলাচলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের জন্যই এ ধরনের সতর্কতা। বিশেষ করে নদীতীরবর্তী এলাকায় কুয়াশা বেশি। কুয়াশার কারণে দূর থেকে দেখা না যাওয়ায় যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রচুর কুয়াশা থাকলে ফ্লাইটে সমস্যা হয়। এ কারণে আবহাওয়া অধিদফতরের সিভিল এভিয়েশনের জন্য একটি আলাদা বিভাগ রয়েছে, যেটি প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর সর্বশেষ কুয়াশার খবর দেয়। দেশে শীতের সময় অর্থাৎ ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে 'ফোগ অ্যালার্ট' জারি করা হয়।
তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে গত কয়েকদিন ধরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
হাফিজুর রহমান বলেন, আবহাওয়াবিদরা কুয়াশাকে 'নিম্ন মেঘ' হিসেবে বর্ণনা করেন। শীতকালে, তাপমাত্রা কম থাকে এবং মাটির আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়ে কুয়াশা তৈরি করে। এছাড়াও, কুয়াশা বা মাটির তুলনায় বায়ু উষ্ণ এবং বেশি আর্দ্র হওয়ায় কুয়াশা তৈরি হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কুয়াশার জন্য বাতাসের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার পার্থক্য দায়ী। তবে এবার রাতের তাপমাত্রা কমার আগেই কুয়াশা তৈরি হচ্ছে। আর বাতাস কম থাকায় কুয়াশা নড়তে পারছে না। কুয়াশা বরফের একটি অংশ। আমাদের দেশে এটি ছোট, তবে অন্যান্য দেশে তাপমাত্রা অনেক কমে যায় এবং এটি বড় আকারে পড়ে যাকে তুষার বলা হয়। আমাদের দেশে তাপমাত্রা একটু বেশি হওয়ায় তুষারপাত হয় না, তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টির মতো ছোট ছোট ফোঁটা পড়ে।
মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ