![]() |
আদমদীঘিতে জব্দ করা ৪১১ বস্তা সার নিলামে বিক্রি | সময় সংবাদ |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার আদমদীঘিতে মেসার্স জুঁই ট্রেডার্স এন্ড তানহা হার্ডওয়্যারের নামের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জব্দ করা বিভিন্ন প্রকার ৪১১বস্তা রাসায়নিক সার নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১২ টায় আদমদীঘি থানা প্রাঙ্গনে আদালতের নির্দেশক্রমে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট শ্রাবণী রায়ের উপস্থিতিতে দুই সার ডিলারের কাছে ২লাক্ষ ৪হাজার ৮৫ টাকায় বিক্রি করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠুচন্দ্র অধিকারী, ওসি জালাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন নিলামে অংশ গ্রহনকারি সার ডিলারগন।
প্রকাশ, আদমদীঘির সান্দিড়া গ্রামে মেসার্স জুঁই ট্রেডার্স এন্ড তানহা হার্ডওয়্যারের নামের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারি বৈধ লাইসেন্স ছাড়া বোরো মৌসুমে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক সার মজুদ রাখে। এমন গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গত ২ মার্চ দিবাগত রাত ৯টায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট শ্রাবণী রায়ের নেতৃত্বে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দোকানের গুদাম থেকে অবৈধ ভাবে মজুদ রাখা প্রায় ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ টাকার বিসিআইসির ২৯১ বস্তা, কাফকোর ৬ বস্তা, কাতার ২ বস্তা ইউরিয়া সার, টিএসপি ৫ বস্তা ও ডিএপি ১০৭ বস্তা সারসহ মোট ৪১১ বস্তা সার জব্দ করেন। এসময় দোকান মালিক সুমন ইসলামকে গ্রেফতার করে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর ১৯ দিন পর গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতের নির্দেশক্রমে জব্দ করা ৪১১ বস্তার সার-নিলামের মাধ্যমে সর্বচ্চো নিলামকারি আদমদীঘির সার ডিলার শাহ মোঃ রাশেদুর রহমান ও মেসার্স মাহবুব আলমের নিকট ২লাক্ষ ৪হাজার ৮৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। যা সরকারি মূল্যের চেয়ে ১লাখ ৩০ হাজার ৫১৫ টাকা কমে নিলাম ডাকে বিক্রি হলো।
উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারি জানান, নিলামের সময় ১১ জন সার ডিলার অংশ নেয়। এর মধ্যে শাহ মোঃ রাশেদুর রহমান ও মেসার্স মাহবুব আলম নামের দুই ডিলার মালিক সর্বচ্চো নিলাম ডাক ২লাক্ষ ৪হাজার ৮৫ টাকা বলায় তাদের নিকট জব্দ করা সার বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রি দেয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে।