সব ধরনের মসলার মূল্য বৃদ্ধি | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Tuesday, May 24, 2022

সব ধরনের মসলার মূল্য বৃদ্ধি | সময় সংবাদ


সব ধরনের মসলার  মূল্য বৃদ্ধি | সময় সংবাদ
 সব ধরনের মসলার মূল্য বৃদ্ধি | সময় সংবাদ




সময় সংবাদ ডেস্ক:




 দেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মসলার। আর এ মসলার সিংহভাগ আসে আমদানির মাধ্যমে। তেল গম ভুট্টার পর এবার অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, হলুদসহ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে।


ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা, বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি ও ঈদুল আজহা সামনে রেখে মজুদপ্রবণতার কারণেও বাজার চড়া বলে অভিমত ব্যবসায়ীদের।



 

দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম গত এক সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩৭ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৮ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে রসুনের দাম ৬০-৭০ টাকা বেড়ে লেনদেন হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। আদার কেজি ১০ টাকা বেড়ে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


শুকনো মসলা পণ্যের মধ্যে কয়েক দিনের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শুকনো মরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুকনো মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০-১২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি পঞ্চগড়ের মরিচের দাম ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ টাকায়, ভারতীয় মরিচ ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৮০, মিয়ানমারের মরিচ ১৯৮ টাকা থেকে বেড়ে ২৩০, কুমিল্লার মরিচ ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৯০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এছাড়া আস্ত হলুদ ৯৮ টাকা থেকে বেড়ে ১০৮ টাকায়, ভারতীয় হলুদ ১১৫ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।



 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, কম গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানিতে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে মার্জিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আমদানিনির্ভর মসলা পণ্যের বাজারে কিছুটা সরবরাহ সংকট রয়েছে। তাছাড়া আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে বাড়তি চাহিদা সত্ত্বেও সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় ধীরগতির কারণে বাজার অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে।


এদিকে শুকনো মসলার মধ্যে জিরা, দারুচিনি, গোলমরিচ, এলাচ, সরিষার দামও আকাশচুম্বী। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিতে ৩৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০০ টাকায়, দারুচিনি ২৯৮ টাকা থেকে বেড়ে ৩০৮, লবঙ্গ ১ হাজার ২০ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৪০, গোলমরিচ ৫৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৬০, এলাচ ১ হাজার ৪২০ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৪৯০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মজুদদার পর্যায় থেকে বাড়তি দাম নির্ধারণ করায় পাইকারি বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।



 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের মেসার্স ইরা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয়ায় দেশের বাজারে ক্রমেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, মসলা পণ্যের মধ্যে গরম মসলার প্রায় শতভাগ আমদানিনির্ভর। এ কারণে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে চাহিদা বেড়েছে। মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ী আমদানীকৃত মসলার মজুদ থেকে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন।


এ কারণে কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। ঈদের আগে প্রায় সব শ্রেণীর ক্রেতা মসলা পণ্য সংগ্রহ করায় বাজারে হঠাৎ দাম বেড়ে যায়। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ছাড়াও বিলাসবহুল পণ্যের আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপেও মসলা পণ্যের বাজার অস্থির। বাজার মনিটরিং কমিটি ও প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো না হলে গরম মসলার বাজার আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।


 

No comments: