ফেনসিডিল মাদক, লিখিত রায়ে আপিল বিভাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
কফের সিরাপ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হলেও এখন সামান্য পরিমাণ ফেনসিডিল মাদক হিসেবেই গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার আপিল বিভাগের লিখিত রায়ে বলা হয়, পরিমাণ যতটুকুই থাকুক না কেন, তা মাদক হিসেবে গণ্য হবে।
ফেনসিডিল মাদক নয়, হাইকোর্ট বিভাগের এমন এক রায়ে বছরের পর বছর আটকে ছিল এ সংক্রান্ত মামলাগুলো। এতে থমকে যায় ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার আসামিদের বিচার।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের সেই রায়কে অযৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করেন। সোমবার লিখিত রায়ে এ নিয়ে সব সংশয় দূর করলো আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সেই রায়কে ভুল বলেও উল্লেখ করা হয়। যশোরের চৌগাছায় ১৯৯৭ সালে ২৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার হওয়া বাদল কুমার পালের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
আরো পড়ুন> প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: রাশেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ৫ নভেম্বর
রায়ে বলা হয়, ফেনসিডিল বহনকারীদের মাদককারবারী হিসেবে গ্রেফতার করা যাবে।
এর আগে চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি ফেনসিডিলকে মাদক হিসেবে উল্লেখ করে তা পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদল পাল ১৯৯৭ সালে ২৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার হন। ২০০০ সালে ঐ মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট খালাস দেয় বাদলকে। যুক্তি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ফেনসিডিল বহন অপরাধ নয়। পরে ঐ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ঐ মামলার শুনানি হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ বলেন, ফেনসিডিলের অন্যতম উপাদান কোডিং, যা মাদক হিসেবে স্বীকৃত।
পরে মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগ সেই রায় স্থগিত করে জানান, বাদলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকবে।
আপিল বিভাগ একইসঙ্গে জানান, ফেনসিডিল মাদক। এই মাদক পরিবহন করা অবৈধ। এই মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে ফেনসিডিল সংক্রান্ত অনেক মামলার ভাগ্য নির্ধারণ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেই রায়ের লিখিত রূপ প্রকাশ হল সোমবার।