ত্বীন ফল চাষে ব্যাপক সফলতার আশা | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, মে ৩১, ২০২২

ত্বীন ফল চাষে ব্যাপক সফলতার আশা | সময় সংবাদ

 

ত্বীন ফল চাষে ব্যাপক সফলতার আশা | সময় সংবাদ
ত্বীন ফল চাষে ব্যাপক সফলতার আশা | সময় সংবাদ



জেলা প্রতিনিধি:



টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামের জাবিদ আল মামুন (২৭)। বাড়ির পাশের ৩৫ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন মরুর দেশের ফল ত্বীন। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ফল পাকতে শুরু করে। এই জমি থেকেই দুই সপ্তাহে ২৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন। আশা করছেন এই জমি থেকে ১৩ লাখ টাকা লাভ করবেন তিনি।


পড়াশোনা শেষ করেছেন বছর দু’য়েক হলো। চাকরি না খুুঁজে নেমে পড়েছেন কৃষি কাজে। আশাও দেখেছেন ইতোমধ্যে। তাই এ বছর ৯ লাখ টাকার ফল বিক্রি এবং আরও ৪ লাখ টাকার কলমের চারা বিক্রি করার ব্যাপারে আশাবাদী জাবিদ আল মামুন (২৭)।




ত্বীন চাষের বিষয়ে জানতে চাইলে জাবিদ বলেন, মরুর দেশের ডুমুরজাতীয় একধরনের ফল ত্বীন। স্বাদে খুব মিষ্টি ও রসাল হয়। পুষ্টিগুণে ভরা এই ফল মধ্যপ্রাচ্যে অনেক জনপ্রিয়। মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়ায় এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয় এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশে এটি ড্রাই ফ্রুট হিসেবে আমদানি হয়ে থাকে।


ভারত, তুরস্ক, মিসর, জর্ডান ও যুক্তরাষ্ট্রে এই ফল আঞ্জির নামে পরিচিত। এর আরবি নাম তিন। গাছপাকা এক কেজি তিন ফলের গড় বাজারমূল্য ১ হাজার টাকা। এই ফলের গাছ ১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। চারা লাগানোর তিন মাসের মধ্যে গাছে শতভাগ ফল ধরে।


তিনি বলেন, প্রথমে কিছুটা শঙ্কায় ছিলাম। পরে কঠোর পরিশ্রম, নিবিড় পরিচর্যা আর কৃষি অধিদপ্তরের লোকজনের পরামর্শে সফল হয়েছি। প্রতি কেজি তিন ফল এক হাজার টাকা দরে বিক্রি করছি। আগ্রহী স্থানীয় ক্রেতারা বাগান থেকেই কিনে নেন। প্রথম বছরে বাগানের খরচ উঠবে এবং পরের বছর থেকে লাভের মুখ দেখতে পারব বলে আশা করছি।




তিনি আরও বলেন, চলতি বছর বাগান থেকে কমপক্ষে দেড় টন তিন ফল বিক্রির আশা করছেন। তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। মরুভূমির ফল; দেশে খুব একটা পরিচিত না। তাই অনেকে তাঁর বাগান দেখতে বাড়িতে ভিড় করেন।


প্রথম বছরে ১ কেজি, দ্বিতীয় বছরে ৭-১১ কেজি, তৃতীয় বছরে ২৫ কেজি—এভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে টানা ৩৪ বছর পর্যন্ত ফল দিতে পারে একটি তিনগাছ। আকারে দেশীয় ডুমুরগুলোর চেয়ে বেশ বড় হয়। আর পাকলে বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হয়। আঁটি ও বিচিহীন এই ফল আবরণসহ খাওয়া যায়।


সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বাণিজ্যিকভাবে তিন ফলের চাষ করা হলেও টাঙ্গাইলে এই প্রথম ফলটি চাষ করা হচ্ছে।


পড়তে পারেন: নতুন পদ্ধতি ‘ভার্টিক্যাল ফার্মিং’, হেক্টরে হাজার টন ফসল উৎপাদন


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, টাঙ্গাইলের সখীপুরে ত্বীন ফলের চাষ শুরু করেছেন জাবিদ আল মামুন। তিনিই প্রথম ত্বীনের বাগান করেছেন। জাবিরের সাফল্য কামনা করি। এ ফল চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।


উল্লেখ্য, ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ রয়েছে। এ ছাড়া প্রায় সব রকমের জরুরি পুষ্টিগুণ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কার্বোহাইড্রেট, সুগার, ফ্যাট, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন পটাশিয়াম ইত্যাদির পাশাপাশি এর অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে। 



ফলটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়, ওজন কমানো, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখাসহ নানা উপকারে আসে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।



Post Top Ad

Responsive Ads Here